বাংলার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে নতুন রেকর্ড তৈরি করল রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৮,৬৪৪ কিলোমিটার রাস্তা (Road) নির্মাণ হয়েছে বাংলায়। যার ফলে বাংলার গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও মসৃণ হয়ে উঠেছে।

২০১১ সালে যখন তৃণমূল (TMC) সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন বাংলার ৩০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ছিল ঢেউ খেলানো। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মমতা। কারণ গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এর প্রভাব পড়ে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা পায়নি রাজ্য। বঞ্চনার শিকার হয়েও পিছু হটেনি। ২০২২ সালে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের অর্থানুকুল্যে শুরু হয় এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত মোট ৩৮ হাজার ৬৪৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ২২টি জেলায় ৩০ হাজার গ্রামে সেই রাস্তা তৈরি হয়েছে পৌনে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির মাধ্যমে পাঁচ কোটিরও বেশি কর্ম দিবস তৈরি করা হয়েছে রাজ্যে।

সম্প্রতি তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছে রাজ্য সরকারের সাফল্যের খতিয়ান।
পথশ্রী ১ প্রকল্পে ৩১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ হাজার ৪১৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে।
পথশ্রী ২ প্রকল্পে ৩৩০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২হাজার ৭১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে।
পথশ্রী ৩ প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৭ কিলোমিটার।
আরও খবর: তৃণমূলে যোগ দিয়েই শুভেন্দুকে তোপ বার্লার: সংবর্ধনা মালবাজারে

এই প্রকল্পে নতুন রাস্তা নির্মাণ ছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণ মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে বাংলায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সব থেকে বেশি দৈর্ঘ্যের রাস্তা তৈরি করার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও মিলেছে জাতীয় পুরস্কার। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ রাজ্য সরকার।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
