তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। সেখানেই ২০২৬ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। ফলে যে কোনও প্রকারে কুৎসা করে বিভাজনের রাজনীতি চালানোর চেষ্টায় বিরোধীরা। তার অন্যতম শিকার বীরভূম (Birbhum)। কোর কমিটির (core committee) উপর আস্থা রেখে সেখানে জেলা সভাপতির পদ না রেখে নয় সদস্যের কমিটির উপর আস্থা রাখা হয়েছে। তাতেই কুৎসা শুরু অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে। রবিবার তারই জবাব দিয়ে অনুব্রতর দাবি, রাজ্যসভার সাংসদের পদও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। পদের মোহ নিয়ে তিনি কাজ করেন না।

কোর কমিটির উপরই ভরসা রেখে দীর্ঘদিন বীরভূমে দল পরিচালনা করেছে তৃণমূল। তাতে সাংগঠনিকভাবে উপকৃত হওয়ার নিদর্শনও মিলেছে একাধিক নির্বাচনে। ফলে সেখানে আবার কোর কমিটির হাতে দায়িত্ব দিয়ে দল পরিচালনার পথে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) প্রথমবার ঘোষিতভাবে জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়নি, বলে সমালোচনা শুরু হয়। রবিবার বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানে তারই সটান জবাব দিলেন অনুব্রত। তাঁর জবাব, আমার পদ না পেলে অম্বল হবে এরকম মানুষ আমি নই।

সেই সঙ্গে দলনেত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) আমাকে রাজ্যসভার (Rajyasabha) সদস্য করতে চেয়েছিলেন। তখনই হয়ে যেতাম। হতে চাইলে অনেক আগে বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী হতে পারতাম। পদের মোহ আমি করি না। পদ নিয়ে আমি চিন্তাভাবনা করি না। মানুষের পাশে থাকি সেটা আমার কাজ।

রবিবার বীরভূমের কোর কমিটি (Birbhum core committee) গঠনের পর প্রথম বৈঠক হয়। সেই বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই প্রসঙ্গে এদিন অনুব্রত জানান, দলনেত্রী তাঁকে তাঁর ঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বলেছেন। সেই সঙ্গে কোর কমিটির বৈঠক ডাকার জন্য অনুব্রতকে অনুরোধ করেন দলনেত্রী। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতা অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Asish Banerjee) সেই বৈঠক ডাকার অনুরোধ করার কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও জানান তিনি।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
