পরিষেবার নামের ছেলেখেলা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern railway)। সিগন্যাল বিভ্রাটের জেরে ফের সমস্যায় যাত্রীরা। এবার সাঁতরাগাছি স্টেশনে (Santragachi Station) ইন্টারলকিং সংক্রান্ত বিভ্রাটের হাওড়া স্টেশনে নিউ কমপ্লেক্সে (Howrah Station New Complex) আটকে কয়েক হাজার যাত্রী। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল, বহু ট্রেন দেরিতে চলছে। সূত্রের খবর হাওড়া মুম্বই-গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল, হাওড়া- পুরী বন্দেভারত এক্সপ্রেসের (Howrah- Puri Vande Bharat Express)সময় অনেকটা পরিবর্তিত করা হয়েছে। যার জেরে স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। সোমবারের পর মঙ্গলেও ট্রেন এক বা দুই ঘণ্টা নয়, অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লেট চলছে ।বহু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন অফিসযাত্রীরা। তাঁরা বলেন এই মুহূর্তে, সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। পরিষেবার উন্নতির নামে গত এপ্রিল মাস থেকে সিগন্যাল সিস্টেমের কাজ চলছে। রবিবার সেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপর দুদিন কেটে গেলেও ট্রেন সমস্যা মিটলো না। সব জেনেও কেন চুপ দক্ষিণ পূর্ব রেল, প্রশ্ন যাত্রীদের।

গত রবিবার সাত ঘণ্টার পূর্ণ ট্রাফিক ব্লকের মধ্যে ৫৩৩টি রুটের ইন্টারলকিং কমিশন করা হয়। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল ইয়ার্ড রিমডেলিং, প্ল্যাটফর্ম বৃদ্ধি ও গুরুত্বপূর্ণ লাইন কাটা। গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত ছিল ১৩ দিনের প্রি-টু-প্রি এনআই পর্ব, তারপর ১৩থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চলেছে পাঁচ দিনের প্রি-এনআই, এবং এদিন ১৮ মে ছিল মূল এনআই ও কমিশনিংয়ের দিন। সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের এই সিস্টেমে সিগন্যাল সিস্টেম ফেলিওর হয়ে যায়। মঙ্গলের সকালেও অন বোর্ড ঘোষণা নেই। করমন্ডল এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস, পন্ডিচেরী এক্সপ্রেস-সহ একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। ব্যাহত হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রেল কর্তৃপক্ষ কেন নীরব? যাত্রী পরিষেবার নামে এই ছেলেখেলা ভারতীয় রেলের (Indian Railway) অপদার্থতাকে আরও একবার স্পষ্ট করে তুলল।

–

–

–

–
-.

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
–