বর্ষা আসার আগেই উত্তরবঙ্গের নদী বাঁধগুলিতে নজরদারি জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের সেচ দফতর গঠন করেছে ১২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম (QRT)। বর্ষার সময় নদী বাঁধে ভাঙন বা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিলে এই বিশেষ টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ডুয়ার্স ও সংলগ্ন অঞ্চলে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা একাধিক নদী বর্ষার সময় হঠাৎ জলস্ফীতির কারণে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সমস্যা হল, রাজ্যের কাছে এই নদীগুলির জলস্তরের সঠিক ও নিয়মিত তথ্য নেই। বর্তমানে রাজ্যের সেচ দফতর কেবল তিনটি নদীর জলপ্রবাহের তথ্য সরাসরি পায়। বাকিগুলির ক্ষেত্রে ভুটানের তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সম্প্রতি ১৪ ও ১৫ মে ভুটানের পারোতে অনুষ্ঠিত ‘জয়েন্ট গ্রুপ অব এক্সপার্টস’ কমিটির বৈঠকে অংশ নেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের দুই প্রতিনিধি। বৈঠকে ভুটান সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন আরও বেশি হাইড্রোলজিক্যাল যন্ত্র বসানো হয় এবং নদীগুলির জলস্তর ও বৃষ্টিপাতের তথ্য আগাম ভাগ করে নেওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উপযুক্ত তথ্যের অভাবে ভাটির দিকে বসবাসকারী মানুষ সবসময়ই বিপদের আশঙ্কায় থাকেন। তাই রাজ্য সরকার কুইক রেসপন্স টিম পাঠানোর পাশাপাশি তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করার উপর জোর দিচ্ছে।

সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গের নদী বাঁধগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালানো এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই এই টিম গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তিগত সহায়তাও জোড়দার করা হবে।”

আরও পড়ুন – কালীঘাট থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি, রাজ্য পুলিশের কৃতিত্ব: দাবি তৃণমূলের

_

_

_

_

_
_
_
_
_