Thursday, November 6, 2025

একদিকে যখন দল মত নির্বিশেষে দেশের রাজনীতিকরা বিদেশের মাটিতে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে তুলে ধরছে, সেই সময় দেশে বিজেপির নেতারা ব্যস্ত দেশের সম্মানকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে। একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীদের কথায় ফুটে উঠছে সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অসম্মান। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন বিজেপির জম্মু-কাশ্মীরের বিধায়ক রণবীর পাঠানিয়া (Ranbir Pathania)। অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন ভারতীয় সেনারা (Indian Army) ঘুমিয়েছিলেন, বলে দেশের সাধারণ মানুষের রোশের মুখে বিজেপি বিধায়ক রণবীর পাঠানিয়া। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর এয়ারফোর্স স্টেশনের (Udhampur Air Force Station) পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় যেখানে এয়ার ফোর্স স্টেশনের সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা জানানো হয়। সেখানে একাধিক নাগরিকের ঘর-বাড়ি থেকে দোকানপাট সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে সরব বিজেপি বিধায়ক পাঠানিয়া। তিনি দাবি করেন, যে নোটিশ এয়ার ফোর্স জারি করেছে সেই নোটিশ অনুযায়ী যে জমি থেকে স্থানীয়দের তুলে দিচ্ছে এয়ারফোর্স (Indian Air Force), সেগুলি এয়ারফোর্সের জমিই নয়।

এয়ারফোর্সের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আইনের প্রশ্ন তুলতে গিয়ে ভারতীয় সেনাকে চরম অপমান করে বসলেন রণবীর পাঠানিয়া। ভিডিও-তে (ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) দেখা যায় তিনি বলছেন, অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) সময় সবাই দেখেছে এয়ারফোর্স স্টেশনে (Udhampur Air Force Station) কী হচ্ছিল। অপদার্থ হতে পারেন তাঁরা, হতে পারে তাঁরা ঘুমিয়েছিলেন। আমাদের তো কোনও দোষ নেই।

বাস্তবে, অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) পরে পাকিস্তানের ক্রমাগত ড্রোন হামলার (drone attack) অনেকটাই হয়েছিল উধমপুর এয়ারফোর্স স্টেশনকে লক্ষ্য করে। আর ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেই হামলা দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেছিল, যার প্রমাণ বারবার সেনার তিন প্রধান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও জমি অধিগ্রহণে বিজেপির বিধায়কই সরব সেনার বিরোধিতায়।

যদিও গত কয়েকবার বিজেপি নেতাদের এই ধরনের কদর্য আক্রমণ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সতর্ক বিজেপি। বিরোধীরা নিন্দায় সরব হতেই সতর্ক করা হয় পাঠানিয়াকে। শেষে সাফাই দিতে বাধ্য হন তিনি। দাবি করেন, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের জয়। ভারতীয় বায়ুসেনা সবসময় ভারতকে গর্বিত করে এসেছে। যদিও সেখানেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলের কটাক্ষ, অপারেশন সিন্দুরের পর থেকে একটি দিনও যায়নি, যখন বিজেপি নেতারা ভারতীয় সেনার নিন্দায় সরব হননি।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version