মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান স্বামী-স্ত্রী। ১২ দিন নিখোঁজ থাকার পরে দেহ মিলল ইন্দোরের রাজের। ক্ষতবিক্ষত পচাগলা দেহ উদ্ধারে আরও আশঙ্কা তৈরি হল স্ত্রী সোনমকে নিয়ে। রাজের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অস্ত্রও। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Conrad Sangma)। সেই সঙ্গে দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও ১২ দিন ধরে ঘটনার কিনারা না করতে পারায় প্রশ্ন উঠেছে মেঘালয় (Meghalaya) প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও।

কিছুটা হলেও রাজ-সোনমের মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছিলেন তাঁদের পরিবার। তবে বুধবার শিলং (Shillong) থেকে ২০ কিমি দূরে রাজ রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হওয়ায় সেই আশা নিরাশায় পরিণত হল। তবে কোনও খোঁজ এখনও নেই তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী সোনমের। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মেঘালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

ইতিমধ্যেই শিলংয়ে (Shillong) যে হোমস্টেতে তাঁরা ছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে দম্পতি ২৩ মে হোমস্টে (home stay) ছেড়েছিলেন একসঙ্গে। একটি ভাড়া করা স্কুটিতে (scooty) তারা হোমস্টে থেকে বেরোয়। পরে সেই স্কুটি পাওয়া গেলেও তাঁদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ২৩ তারিখ থেকেই।

বুধবার গভীর খাদ থেকে রাজের দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে তার রক্তমাখা রেনকোট উদ্ধার হয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি রেনকোটটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান রাজকে খুন করা হয়েছিল। তবে এখনও সোনমের কোনও খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় পরিবারের তরফ থেকে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করা হয়েছে। যদিও মেঘালয় (Meghalaya) পুলিশের দাবি সিট গঠনের পাশাপাশি এনডিআরএফ, এসডিআরএফ-কেও নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজে লাগানো হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–