দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) দ্বারোদঘাটনের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, বাংলার প্রতিটি ঘরে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ। সেই মতো উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। ছোট্ট বাক্সে বাংলার ঘরে ঘরে রথযাত্রার আগেই পৌঁছে যাবে প্রসাদ ও নবনির্মিত মন্দিরের ছবি। ১৭ জুন থেকেই রাজ্যজুড়ে এই প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর।

মন্দিরের (Jagannath Temple) প্রসাদ রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen)। কীভাবে প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২৭ জুন রথযাত্রার আগে প্রসাদ বিতরণের কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি সব কাজ শেষ না হয়, তাহলে উল্টোরথ অর্থাৎ ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তা শেষ করতেই হবে।

প্রতিটি বাক্সে প্রসাদ হিসাবে থাকবে

- গজা ও পেড়া
- দুধ, খোয়া ক্ষীর, চিনি, এলাচের মতো সামগ্রী দিয়ে তৈরি হবে হলুদ রঙের পেড়া
- ৪.৮ সেন্টিমিটার চওড়া ২০ গ্রাম ওজন
- ময়দা, ঘি, খোয়া ক্ষীর, চিনি, চিনির সিরা ও জায়ফলের মতো জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি গজা হবে খয়েরি রঙের
- লম্বায় ৩.২ সেন্টিমিটার ও চওড়ায় ৩.১ সেন্টিমিটার।
- ওজন ৬০ গ্রাম
- খাজার দাম ১০ টাকা
- গজার দাম ২০ টাকা
খাদ্য দফতরের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’-এর মাধ্যমেই এই বাক্সগুলি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। যাঁরা রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নেই, তাঁদের বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দিতে আলাদাভাবে ব্যবস্থা রাখতে বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর পুরসভা ও এনকেডিএ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো ব্যবস্থা করবে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। নির্দিষ্ট জিনিস ভরে বাক্স তৈরি করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এনআরএলএম বা এনইউএলএম।
আরও খবর: সৃজিতের ফ্রেমে যিশু ম্যাজিক, ছোটপর্দার ‘মহাপ্রভু’ এবার নিত্যানন্দের ভূমিকায়


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–