সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। কিন্তু আবেদন ধোপে টিকলো না। রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। সোমবার মামলাটি এজলাসে উঠলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর মন্তব্য, আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলুক। এই মামলার দ্রুত শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই।

এসএসসি-র (SSC) নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এবার লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে ছিল ৩৫ নম্বর। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এরপরই মামলাকারীরা অভিযোগ করে বলেন, এতে শিক্ষকদের এতদিনের পড়াশোনা এবং রেজাল্ট অনেকটাই মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। এমনকি অযোগ্যরা এই বিজ্ঞপ্তির ফলে সুবিধা পেয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন মামলার শুনানিতে সব অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে দেয় আদালত। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, তরুণজ্যোতি তিওয়ারিদের আবেদন ছিল, মামলাটির জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক। এমনকি নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়ম বদল হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ আরও কমে যাবে বলে দাবি করেন শামিম। কিন্তু সওয়াল-জবাব শেষে মামলা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। শুনানিতে স্পষ্ট জানান হয়, যে নয়া বিধিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এসএসসি। আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপর কোনও বিধিনিষেধ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বড় জয় রাজ্যের।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–


