ইন্দোরের সোনম রঘুবংশীর আত্মসমর্পণের (surrender) পিছনে রহস্যের কিনারা করার দাবি মেঘালয় পুলিশের। এখানেও এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে মেঘালয় পুলিশের (Meghalaya police) তরফে। সোনমের পরিবারের তরফে যদিও দাবি করা হচ্ছে কোনওভাবেই রাজা রঘুবংশীর (Raja Raghuvanshi) খুনে সে জড়িত নয়। অন্যদিকে প্রাথমিকভাবে সোনমকে অপরাধী মানতে নারাজ রাজের পরিবার। তাঁদের তরফ থেকে সোনমের সহকারী হিসাবে তারই পরিচিত একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে আসায় কার্যত বিস্মিত রাজার দাদা বিপুল রঘুবংশী।
সোমবার মেঘালয় (Meghalaya) প্রশাসনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, এপর্যন্ত এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাত থেকে শুরু হয় গ্রেফতারি। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর থেকে গ্রেফতার আকাশ রাজপুত, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে বিশাল চৌহান, ও রাজ সিং কুশওয়া এবং সদর থেকে আনন্দ কুর্মি নামে চারজনের গ্রেফতারির বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। এরই মধ্যে রাতেই আত্মসমর্পণ করেন নিহত রাজার স্ত্রী সোনম। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
মেঘালয় প্রশাসনের তরফে উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টিনসং (Deputy CM Prestone Tynsong) দাবি করেন, ব্যাপক ভৌগোলিক সমস্যাজনক অবস্থান সত্ত্বেও মেঘালয় পুলিশ থেকে সব ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে এই ঘটনার সূত্র খুঁজতে কাজে লাগানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে একাধিক রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হয়েছে। তার জেরেই চার গ্রেফতারিতে এই তদন্তে সাফল্য আসার পথে, দাবি টিনসংয়ের (Prestone Tynsong)। গোটা ঘটনায় মেঘালয় পুলিশের (Meghalaya Police) তরফেই একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে। যার জেরে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের সঙ্গে মিলে সোনম রাজাকে খুন করে থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মেঘালয় পুলিশের তদন্তে প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজা রঘুবংশীর পরিবার। সোনমের (Sonam Raghuvanshi) আত্মসমর্পণের পরেও বিপুল রঘুবংশী দাবি করেন রাজা ও সোনমের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। তবে রাজ কুশওয়ার (Raj Kushwaha) গ্রেফতারিতে তাঁরা বেশ খানিকটা ধন্দে। বিপুল জানান, কুশওয়া সোনমের সংস্থায় কাজ করত। তার গ্রেফতারিতে সোনমের জড়িত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি দাবি করেন, মধুচন্দ্রিমায় অসম (Assam) যাওয়া ও কামাক্ষ্যায় পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে সেখান থেকে মেঘালয় (Meghalaya) যাওয়ার সিদ্ধান্ত কার ছিল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন। সেই সঙ্গে মেঘালয় থেকে ফেরার কোনও টিকিট তাঁদের কাটা ছিল না, এমনটাও জানান মৃত রাজার ভাই।
যদিও রাজার মৃত্যুতে সোনমের হাত রয়েছে, এমনটা মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। এর আগে জ্যোতিষ ও অন্যান্য চিন্তাভাবনা থেকে মেয়ের ঘরে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন তাঁরা। সোনমের আত্মসমর্পণের (surrender) পরে তাঁকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করছে তার পরিবার।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
