স্বদেশিকতার আড়ালে কি নিজেদের ঘনিষ্ঠ শিল্প গোষ্ঠীগুলিকে মুনাফার রাস্তা করে দিতে চাইছে আরএসএস? কারণ amazon-flipkart-এর মতো সংস্থাগুলির পণ্য বাদ দিয়ে দেশীয় সংস্থার বাজার তৈরি করার উপর জোর দিয়ে বিস্তর লেখালেখি করছে আরএসএস তাদের মুখপত্রে। এমনকী চিনা দ্রব্য সামগ্রী বর্জনের দাবিতে রীতিমতো আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তারা। তবে অর্থনৈতিক মহলের মতে, এর পিছনে যত না স্বদেশিকতা আছে, তার থেকে বেশি আছে ব্যবসায়িক মুনাফার ছক।

RSS-এর তরফে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের দাবি, সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য অনুযায়ী ভারতের পণ্যের প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ এখন বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার হাতে চলে গিয়েছে। চিনা পণ্যে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। সংঘ পরিবারের মতে, এটাও এক প্রকার ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি। তাদের যুক্তি শুধু চিন নয় আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিভিন্ন সংস্থাও ভারতের বাজার দখল করে ব্যবসা করছে। ফলে দেশীয় পণ্য মার খাচ্ছে। সেই কারণে দেশের স্বার্থে বিদেশী পণ্যের দখলদারি আটকাতে আন্দোলন প্রয়োজন।

তবে, amazon-flipkart-এর মতো সংস্থার বিরুদ্ধে অনেকদিনই খড়্গহস্ত বিজেপি এবং আরএসএস। মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে এই দুই ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে না না অজুহাতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সংঘ পরিবারের অভিযোগ দেশীয় পণ্যের থেকে বিদেশি পণ্য বেশি বিক্রি করে এরা অনেক মুনাফা করছে। এমনকী স্থানীয় কারিগরদের থেকে কম দামে জিনিস কিনে চড়া দামে বিক্রি করছে তারা।

তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, স্বদেশিকতার এই মুখোশের আড়ালে রয়েছে নিজেদের কাছের শিল্প গোষ্ঠীগুলিকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার ছক। তাদের জন্য বাজার তৈরি করে তুষ্ট রেখে ঘুরপথে সেই মুনাফার সুবিধা ভোগ করাই আসল লক্ষ্য। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে সরাসরি এটা করতে পারছে না বিজেপি। ফলে “ভোকাল ফর লোকাল”- এর স্লোগান তুলে আসলে পছন্দের শিল্পগোষ্ঠীকে বাজার তৈরি করে দিতে চাইছে সংঘ পরিবার।


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–
