পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনে এবার থাকবেন দু’জন ভাইস-চেয়ারপার্সন। এতদিন পর্যন্ত একজন ভাইস-চেয়ারপার্সন থাকতেন সংখ্যালঘু কমিশনে (Minority Commission)। এবার সেই নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্দেশ্যে শুক্রবার ১৯৯৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন আইনের একটি সংশোধনী (amendment) পেশ করা হয়।

বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানান, বর্তমানে সংখ্যালঘু কমিশনের কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। সেই কারণে ভাইস চেয়ারম্যানের একটি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে সংবিধান নির্দিষ্ট বিধি মেনে এ রাজ্যে ছটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং সাতটি ভাষা ভিত্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে। সকলের স্বার্থ রক্ষাতেই কাজ করছে কমিশন। মন্ত্রী জানান আইন সংশোধনের ফলে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের (West Bengal Minority Commission) সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে হবে ১৩। মুসলিম, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ,খ্রিস্টান,পারসিক সমস্ত সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কমিশনে রয়েছেন বলে মন্ত্রী জানান। যা করা হয়েছে তার সংবিধান মেনেই করা হয়েছে। কাউকে পদ পাইয়ে দেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই। কারণ এই কমিশনের চেয়ারপার্সনের ভাতা থাকলেও ভাইস চেয়ারপার্সনদের কোনও ভাতা নেই। কেবল ‘বৈঠক অনুদান’ ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।

বিলের উপর আলোচনায় অংশ নেন নওশাদ সিদ্দিকি, মহম্মদ আলি, হুমায়ুন কবীর, শঙ্কর ঘোষ-সহ বিরোধী বিধায়কেরাও। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ তাঁর বক্তৃতায় সংখ্যালঘু কমিশনের একধিক পদের প্রয়োজনীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি এই বিলকে সমর্থন জানিয়ে সংখ্যালঘু কমিশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগকে সমর্থন জানান। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন এবং রহিমা বিবিও সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানান। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রস্তাব দেন, কোনও ‘পরিচিত ব্যক্তিত্ব’ (পাবলিক ফিগার)-কে এক জন ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ হোক। যিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী নন। তিনি বলেন, লোভের কোনও ধর্ম হয় না। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। শিক্ষার জায়গাটা আমাদের দেখতে হবে, কোনও জায়গায় ত্রুটি নেই তো। আলোচনার শেষে সংশোধনীটি ধ্বনি ভোটে বিধানসভায় গৃহীত হয়।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
