২০২১-এর ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে স্লোগান ‘খেলা হবে’ প্রায় আপ্তবাক্য হয়ে উঠেছিল তৃণমূল শিবিরের। ২০২৬-এর ভোটের এক বছর আগে ফের তা ফিরল বিধানসভায় (Assembly)। বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে বলে ফেললেন— ‘খেলা হবে, ২০২৬-এও খেলা হবে।’’ রাজনৈতিক মহলে যার তাৎপর্য নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

একদিকে যেমন মন্ত্রী তুলে ধরেছেন বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়, মহিলা ফুটবলে সাফল্য, জাতীয় লিগে মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া— অন্যদিকে তেমনই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের “ধারাবাহিক অসহযোগিতার” কথা। জলপাইগুড়ির ২৭ একর জমির ওপর তৈরি ১১১ কোটি টাকার ক্রীড়া একাডেমি ঘিরে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই)-এর বিরুদ্ধে কার্যত ‘ফেলে রাখার’ অভিযোগ এনেছেন তিনি। বলেন, ‘‘সাই যদি না চালায়, রাজ্য নিজেই প্রতিভা খুঁজবে, জমি ফিরিয়ে দিক।’’

মন্ত্রী (Arup Biswas) জানান, রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ৮টি একাডেমি গড়েছে, ৩৪টি ক্রীড়া সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান। ১৫৫৭ জন ক্রীড়াবিদকে দেওয়া হচ্ছে মাসিক ভাতা।
তবে এদিনের অধিবেশনে তা নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মন্ত্রী যখন রাজ্যের সাফল্য বর্ণনা করছিলেন, তখন প্রশ্ন করেন— “শুধু খেলার গল্প বললেই চলবে? মোহনবাগান বা নাইট রাইডার্সে কতজন বাঙালি খেলোয়াড়? জাতীয় স্তরে বাংলার প্রতিনিধিত্ব কোথায়? পিকে বা অমল দত্তদের মতো নাম উঠে আসছে না কেন?”
জবাবে অরূপের মন্তব্য— “উনি বড় খেলোয়াড়, জার্সি বদল করেছেন।”
আগামী বছর ভোটমুখী বাংলা জুড়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান নতুন করে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে গেল বিধানসভার এদিনের চাপান উতরে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–