আদালত অবমামনা মামলায় রুল নিয়ে শুনানিতে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকা থেকে অব্যাহতি দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। সোমবার, শুনানিতে কুণালের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কুণালের উপর যে এই অভিযোগ আনা যায় না, এই মর্মে তাঁর দীর্ঘ সওয়াল এখনও শেষ হয়নি। আগামী ৩০ জুন ফের শুনানি। কল্যাণের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, রাহুল মিশ্র। কুণালের তরফ থেকে এদিন তাঁর বক্তব্য-সহ হলফনামা জমা দেওয়া হয় তিন বিচারপতিকে।

এসএলএসটি শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের (SLST) আদালত চত্বরে এক বিতর্কিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এই আদালত অবমাননার মামলা। প্রধান বিচারপতি এই মামলার জন্য তিন বিচারপতির একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে একদম শেষে কুণাল ঘোষের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বিক্ষোভ চলাকালীন চত্বরেই উপস্থিত ছিলেন না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে রাম-বাম মৃত হই ষড়যন্ত্র করে। ১৯ মে এই মামলার একটি শুনানিতে কুণালের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য ও অয়ন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের হলফনামা (Affidavit) প্রস্তুত। আমরা এখনই জমা দিতে পারি। কিন্তু যেহেতু আদালতের নির্দেশে ঘটনা নিয়ে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়েছে এবং আগের দিন রাতে আমরা তার কপি পেয়েছি, তাই তার উল্লেখ আমাদের হলফনামায় থাকা দরকার। সেই কারণেই আমাদের হলফনামা জমা পড়েনি। তাঁরা বলেন, বিতর্কিত বিক্ষোভের ঘটনার দিন কুণাল ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ৭জুন শুনানিতে আদালত ১৬ জুন বেলা ১২.৩০-এ কুণালকে (Kunal Ghosh) হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের সামনে উত্তরসহ সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলে।
আরও খবর: বনদফতরের প্রশিক্ষণে মিলল সাফল্য! হাতি-মানুষ সংঘাতে রুখে দাঁড়াল গ্রামবাসীরা

কিন্তু ১৬ জুন বিচারপতির অনুপস্থিতে বসেনি বিশেষ বেঞ্চ। আদালত অবমাননা মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হাজিরা নথিভুক্ত করান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এবার সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকা থেকে অব্যাহতি দিল হাই কোর্ট। এই মামলার পরের শুনানি আগামী ৩০ জুন।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–