বরাবরই শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নাম শীর্ষে উঠে এসেছে। এবার যাদবপুরের মুকুটে যোগ হল গর্বের নতুন পালক। চাকরির বাজারে মোটা অঙ্কের বেতন পেয়ে নজর কাড়লেন যাদবপুরের উপায়ন দে (২২)। তাঁর বার্ষিক বেতন প্যাকেজ ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। দেশে লেখাপড়া করে দেশীয় কোম্পানিতেই এরকম বেতন পাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। ফলে যাদবপুরের শিক্ষক, সহপাঠী এবং প্রাক্তনীদের মধ্যেও উপায়নের এই সাফল্য নিয়ে চরম উচ্ছ্বাস। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাইনাল সেমেস্টারের পড়ুয়া উপায়ন সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক আন্তর্জাতিক ডেটা সিকিউরিটি কোম্পানিতে।

২০১৯ সালে আইসিএসই পরীক্ষায় সারা দেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন উপায়ন। তাঁর বাবা মণীশ দে, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কেমিস্ট্রি বিভাগের ডিরেক্টর, বর্তমানে কর্মসূত্রে থাকেন ফরিদাবাদে। ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা মণীশ দে বলেন চাইলে উপায়ন আইআইটিতে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু তাঁরা যাদবপুরের উপর ভরসা করেছিলেন। ছেলের সাফল্যে আবেগে ভাসছেন মা রূপা দে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি সর্বদা ছেলেকে দেশের পাশের থাকার কথা বুঝিয়েছেন। দেশের মাটিতে পড়ে, সেই দেশের জন্য যদি কিছু না করে, তাহলে তো সবই বৃথা। উপায়ন মায়ের কথা শুনে যে দেশেই থেকেছে তাতে খুশি মা।

সল্টলেকের এএইচ ব্লকের বাসিন্দা উপায়ন বেঙ্গালুরুতে গত ৯ জুন নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে দেশের বাইরে পাড়ি দেওয়ার কোনও আগ্রহ নেই তাঁর। উপায়নের জানিয়েছেন তাঁর বিদেশে যাওয়ার একেবারেই ইচ্ছে নেই। মায়ের সেই কথার মূল্য দিতে দেশের মাটিতেই থেকে নিজের কাজের মধ্য দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চান তিনি। এই সাফল্যকে শুধু ব্যক্তি বিশেষ নয়, বরং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ((Jadavpur University)) সম্মান হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট অফিসার শমিতা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, “এই সাফল্য আসলে ব্র্যান্ড যাদবপুরেরই সাফল্য। উপায়নের মতো ছাত্রদের হাত ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুকরণ ভেঙে সামনে আসে প্রকৃত কৃতিত্ব।” আরও পড়ুন: সিন্ধু লিপি পাঠোদ্ধারে আন্তর্জাতিক সেমিনার ভারতের! ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা স্টালিনের

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–