ইতিহাস তৈরি করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS ) পৌঁছে গেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla )। ড্রাগন ক্যাপসুলের যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৪ দিনের জন্য আইএসএসের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে। দুসপ্তাহ পর ফের পৃথিবীর মাটিতে ফিরবেন ক্যাপ্টেন শুক্লা। প্রথমবার মহাশূন্যে যাওয়ার অনুভূতি স্পেসশিপে থাকাকালীন জানিয়েছিলেন। এবার স্পেস স্টেশন (ISS) থেকে জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।মহাকাশের বুকে কার্যত ভাসতে ভাসতে ভারতীয় ক্যাপ্টেনের পর্যবেক্ষণ, এখানে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে যতটা সহজ মনে হয় আসলে ততটা নয়।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বিকেল চারটের কিছু পরে ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মহাকাশ স্টেশনে পা রাখেন শুভাংশু ও তিন সহ নভোশ্চর। স্পেসস্টেশনে থাকা ৭ মহাকাশচারী স্বাগত জানান শুভাংশুদের, জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে। এরপর কিছুটা আবেগ নিয়েই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে দেশকে পাঠানো বার্তায় শুভাংশু বলেন, ‘আমার প্রিয় দেশবাসীর জন্য একটা ছোট্ট বার্তা.. আপনাদের ভালবাসা আর আশীর্বাদে আমি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছি। এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুব সহজ দেখতে লাগলেও, বেশ কঠিন ব্যাপার। মাথাটা ভারী লাগছে, একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কয়েকদিনেই আমরা এগুলোর সঙ্গে অভ্যস্থ হয়ে যাব। এটা এই সফরের প্রথম ধাপ। আগামী ১৪ দিন এখানে থাকব। এখানে থেকে আমরা অনেক নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করব। আপনাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলব। কিন্তু এই সফরটা আমাদের মহাকাশ সফরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ড্রাগনযানে থাকার সময় আপনাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। এরপরে, এই স্পেস স্টেশন থেকেই আগামী সমস্ত কথা হবে। আসুন, সবাই মিলে এই সফরটাকে উপভোগ্য করে তুলি। আমি আমার কাঁধে ভারতীয় তেরঙ্গা পতাকা বহন করে নিয়ে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের প্রত্যেকটা মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের প্রত্যেকটা মানুষ আমার মতোই উৎসাহিত। আমার মনে হয়, আগামী ১৪ দিন খুব আকর্ষণীয় হতে চলেছে।’
বুধবার ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ১ মিনিটে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে ওড়েন শুভাংশুরা। ভারতীয় বায়ু সেনার ক্যাপ্টেন গেছেন মূলত পাইলট হিসেবে। তাঁর সঙ্গীরা হলেন পেগি হুইটসন (Peggy Whitson), স্লায়োজ় উজ়নাইনস্কি ভিসনেউফ্স্কি (Sławosz Uznański-Wiśniewski), ও টিবল কাপু (Tibor Kapu)। বুধবার দুপুরে উড়ানোর পর রাতে নাকি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় পাইলট। তবে নিঃসন্দেহে Axiom 4 মিশনের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন শুভাংশু।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–