রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এবার মুখ দেখে মিলবে খাবার। আগামী ১ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে ‘ফেস রেকগনিশন সিস্টেম’। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের নির্দেশে এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হচ্ছে রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ— ছ’মাস থেকে ছ’বছরের শিশু এবং গর্ভবতী ও সদ্য মাতৃত্বপ্রাপ্ত মহিলারা।
সমাজকল্যাণ দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি উপভোক্তার মুখের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ‘পোষণ অ্যাপ’-এ আপলোড করতে হবে। সেন্টারে কেউ খাবার নিতে এলে, তাঁর মুখের ছবি মিলিয়ে দেখা হবে অ্যাপে থাকা ছবির সঙ্গে। মিললে তবেই ধরা হবে ‘উপস্থিত’। তারপরেই মিলবে খাবার। এতদিন শুধু আধার বা মোবাইল নম্বর যাচাই করেই পরিষেবা মিলত, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মুখ সনাক্তকরণের আধুনিক প্রযুক্তি।
সূত্রের খবর, কিছু জেলায় আগে থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু ছিল এই পদ্ধতি। এবার তা রাজ্য জুড়ে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— উপভোক্তা অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পরিবারের কেউ কি আর তাঁর খাবার সংগ্রহ করতে পারবেন? কারণ মুখ না মিললে ‘উপস্থিতি’ স্বীকৃতি মিলবে না। তবে এই বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
দফতরের এক আধিকারিক জানান, “এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোজ কতজন উপভোক্তা কেন্দ্রে আসছেন, সেই হিসাব অনেক সহজে ও নির্ভুলভাবে রাখা সম্ভব হবে। কোনও ধরনের অপব্যবহার বা ভুয়ো উপভোক্তার তথ্য প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করবে এই পদ্ধতি।” নতুন এই ব্যবস্থার বাস্তবায়নে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। যদিও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সংযোগ ঘিরে অনেক প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের অন্দরে। তবু সরকারের মত, বাস্তবায়ন সফল হলে এটি হয়ে উঠতে পারে পরিষেবা বণ্টনের একটি যুগান্তকারী মডেল।
আরও পড়ুন – বৃদ্ধ দম্পতি খুনে ফাঁসির আদেশ শিয়ালদহ কোর্টের
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_