ভোট যত এগিয়ে আসছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য তত বাড়ছে নীতীশের (Nitish Kumar) বিহারে। দুষ্কৃতীদের নিশানা থেকে বাদ যাচ্ছে না বিজেপি নেতারাও। শুক্রবার রাতে রাজধানী পাটনা (Patna) শহরে একেবারে সামনে থেকে গুলি করে খুন করা হল প্রাক্তন বিজেপি নেতার বাবা, ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে। এই ব্যবসায়ী ছেলে, তৎকালীন বিজেপি আহ্বায়ক গুঞ্জন খেমকাকে ২০১৮ সালে একইভাবে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবারের ঘটনায় ফের একবার বিহারের (Bihar) প্রশাসনিক দুর্বলতা নিয়ে সরব বিরোধীরা।

শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ পাটনার (Patna) একটি বিলাশবহুল হোটেলের সামনে একেবারে কাছ থেকে গোপাল খেমকার উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় তারা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গোপাল। হোটেলের কাছেই একটি আবাসনে থাকতেন এই ব্যবসায়ী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।

গোপাল খেমকা খুনের ঘটনায় সরব তাঁর বিজেপি। দলের নেতা রাম কৃপাল যাদব দাবি করেন, মৃতের পরিবারের দাবি, গুলি চলেছে রাত ১১টা নাগাদ। ঘটনাস্থল থেকে একেবার কাছে গান্ধী ময়দান থানা। অথচ পুলিশ এসেছে রাত ১.৩০ নাগাদ। সেটাই সবথেকে চিন্তার বিষয়। পুলিশি নজরদারির অভাবে একেবার তলানিতে পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা।

প্রসঙ্গত, মৃত গোপাল খেমকার ছেলে গুঞ্জন খেমকাকে ২০১৮ সালে একইভাবে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। সেই সময় তিনি রাজ্য বিজেপির আহ্বায়ক (convener) ছিলেন। অথচ সেই সময় গুঞ্জনের শেষকৃত্যে দেখা যায়নি কোনও বিজেপি নেতাকে। বিরোধী দলের নেতারা পরিবারের সঙ্গে সমবেদনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিজেপি নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিবার।

ছয় বছরের মধ্যে যে বিহারের পরিস্থিতিতে এতটুকু পরিবর্তন হয়নি, বরঞ্চ আরও খারাপ হয়েছে, তা প্রমাণ করছে শুক্রবারের ঘটনা। বিহারে নির্বাচন (Bihar Assembly Election) আসন্ন। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে পাটনা শহরে বড় ব্যবসায়ীর খুনের ঘটনায় সরব প্রতিটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। সেই সঙ্গে যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, তত আরও বাড়বে খুনোখুনি, আশঙ্কা বিরোধীদের।

–

–

–

–

–

–
–
–
–