হুমকি মেসেজ, সেলফি, ডেলিভারি বাক্স – সবই নকল। এমনকি আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা নিয়েও ধন্দে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ডেলিভারি বয়ের (delivery boy) বেশে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর যে তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এসেছে তাতে গোটা ঘটনা সত্যতা নিয়ে প্রশ্নে পুলিশ। যদিও দ্রুত এই রহস্যের জট খুলবে বলে জানানো হয়েছে পুনের (Pune) পুলিশ কমিশনারের তরফে।
মহারাষ্ট্রের পুনের এক ডেটা সাইন্টিস্ট অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডেলিভারি বয়ের ছদ্মবেশে ঘরে ঢুকে তাঁকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখনই জানা যায় অভিযুক্ত যুবক (delivery boy) অভিযোগকারীর পূর্ব পরিচিত। আর তাতেই চোখ কপালে পুলিশের (Pune police)।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে, যে সেলফি (selfie) দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছিলেন ওই সেলফি অভিযোগকারী নিজেই তুলেছিলেন। পুরনো একটি ছবিকে এডিট করে হুমকি ছবি বানানো হয়েছিল। এবং ওই হুমকি মেসেজও (threat message) তিনি নিজেই লিখেছিলেন। যে ডেলিভারি বাক্স দেখানো হয়েছিল, তাও সাজানো ছিল। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তবে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা কী?
আরও পড়ুন: সামার ক্যাম্প চলাকালীন হড়পা বান: টেক্সাসে নিহত ২৪, নিখোঁজ অন্তত ২০
অভিযোগকারিনীর এই অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ার পরই ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরপরই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করার পথ থেকে সরে আসে পুলিশ। দুটি আলাদা এফআইআর দায়ের হয়। অভিযুক্ত যুবক উচ্চশিক্ষিত বলে জানায় পুলিশ। সেই সঙ্গে আবাসনের রেজিস্টারে ঐদিন ওই যুবকের আবাসনে ঢোকার কোন নথিও নেই। আবাসনে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে গোটা ঘটনার রহস্য দ্রুত উন্মোচনে আশাবাদী পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–