আশুরার দিনে কারবালার শহিদ ইমাম হুসেনের আত্মবলিদান স্মরণে রবিবার কলকাতা মহানগরে পালিত হল মহরম। সূর্যসেন স্ট্রিট, রাজাবাজার, বেলেঘাটা, টালিগঞ্জ, খিদিরপুর-সহ একাধিক এলাকায় তাজিয়া শোভাযাত্রা ও শোক মিছিল ঘিরে ভোর থেকেই ভক্তসমাগম দেখা যায়। ঐতিহ্য মেনে ‘না খোদা’ মসজিদ থেকেও বার হয় তাজিয়া, যার সঙ্গে যোগ দেন বিপুল সংখ্যক শোকার্থীরা।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশ শহরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। লালবাজার সূত্রে খবর, উল্টো রথ ও মহরম—দুটি বড় উৎসব মাথায় রেখে মোট ৫,০০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে; এর মধ্যে এবারের মহরমে নিরাপত্তার জন্যই কাজ করেছেন আড়াই হাজার অফিসার ও কনস্টেবল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ শোভাযাত্রা পথ জুড়ে টহল দিয়েছে RAF ও লালবাজারের কুইক রেসপন্স টিম। গোয়েন্দা বিভাগ থেকেও ছিল নজরদারি; রুটম্যাপ অনুযায়ী জুড়ে দেওয়া হয় সিসিটিভি ও প্রয়োজনে ড্রোন পর্যবেক্ষণ।

ট্র্যাফিক বিভাগ শনিবার রাত থেকেই যানবাহন নিয়ন্ত্রণে একাধিক রাস্তা ঘুরিয়ে দেয়। আজ দুপুর থেকে কোয়ান্টাম রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, ডরিনা ক্রসিং, পার্ক সার্কাস, মৌলালি, বাগবাজার, টালা ব্রিজ সহ কয়েকটি ব্যস্ত রুটে গাড়ি চলাচলে সময়সীমা ও ডাইভারশন চালু ছিল। ফলে শোভাযাত্রার মাঝে বড়সড় যানজটের দৃশ্য মেলেনি।

কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা শনিবার রাতে প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় ভাবাবেগের মর্যাদা রক্ষা করেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।” যে কোনও প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুম ও হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হয়। দিনভর শোকমিছিল মিটে গেলেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাত দুপুর পর্যন্ত টহল দেবে মোতায়েন বাহিনী। প্রশাসনের দাবি, কোথাও বড়সড় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই পালন করেছেন মহরমের শোক ও তাজিয়া অনুষঙ্গ।

আরও পড়ুন – ফ্রিজারে দেহ রেখেছে পরিবার, মালদহে হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাম-বাম: অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_