কাটোয়া (katwa) বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। সেই সঙ্গে এই বোমা তৈরিকে ঘিরে আর কী ধরনের চক্রান্ত চলছিল, তার তদন্তে এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তবে ধৃতদের জেরা করে দ্রুত সেই চক্রের হদিশ পেতে মরিয়া পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন জামির শেখ। যিনি এই পরিকল্পনার মূল ‘লিঙ্কম্যান’ বলে দাবি করছে তদন্তকারী পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাটোয়ার (katwa) রাজোয়া গ্রামে। একটি পরিত্যক্ত মাটির বাড়িতে স্থানীয় কিছু যুবক মিলে বোমা বানানোর কাজ করছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সেই সময় আচমকা ঘটে যায় প্রবল বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হন তুফান চৌধুরী নামের আরও একজন। যিনি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন। জখম তুফানকে জেরা করেই মূল অভিযুক্ত জামির শেখের হদিস পায় পুলিশ। জামিরের বাড়ি কেতুগ্রামের কাচড়া গ্রামে। তাঁর বাড়ি থেকেও বোমা তৈরির কিছু কাঁচামাল এবং সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি আরও চারজন—জুমেইদ শেখ, নজরুল মোল্লা, অনুপ কাইম শেখ এবং আবু তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলকেই শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।

পুলিশের দাবি, এই বোমা চক্রের সঙ্গে বৃহত্তর কোনও চক্রের যোগাযোগ থাকতে পারে। তদন্তে উঠে আসছে বীরভূমের দিক থেকেও কিছু সন্দেহজনক খবর। ফলে তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করছে জেলা গোয়েন্দা দফতর। ঘটনাস্থল তথা ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি আপাতত সিল করে রেখেছে পুলিশ। আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিস্ফোরণ থেকে আরও বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীদের একাংশ দাবি তুলেছে—বেআইনি বোমা তৈরির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। এই ঘটনার পর কাটোয়া ও সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া। প্রশাসনের তরফে বারবার আশ্বস্ত করা হচ্ছে, গোটা ঘটনার দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আরও পড়ুন : মহেশতলায় নার্সের রহস্য মৃত্যু, খুনের অভিযোগ

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–