একের পর এক নির্বাচনে ক্রমশ শূন্য থেকে মহাশূন্যের দিকে নেমে যাওয়া বামেরা যে বিজেপিতেই নিজেদের ভোট ঢেলেছেন, তা পরিসংখ্যানই প্রমাণ করেছে। বারবার। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি (BJP state president) প্রকাশ্য মঞ্চে স্বীকার করে নিলেন সিপিআইএম-এর (CPIM) সঙ্গে তাঁদের কোনও লড়াই নেই। ব্যক্তিগতভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানানোর বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।

বাংলার বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের ভোটের লোভে বার্তা দেওয়া শুরু করেছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। বিরোধী দলনেতার থেকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করার বার্তাও দিয়েছিলেন। এবার সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি আস্থার বার্তা দিলেন শমীক। এর আগেও এভাবেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাম সমর্থকদের পাশে থাকার ডাক দিয়েছিলেন। ঠিক সেভাবেই একের পর এক সিপিআইএম নেতার নাম নিয়ে সিপিআইএম-এর আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

যে বিজেপি একের পর এক বাংলাবিরোধী পদক্ষেপে বাংলার মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। বাংলার বদনাম করতে যাদের এক মুহূর্ত বাধে না, এবার সেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে বাংলাকে বাঁচানোর বাণী। বাম ভোটের মতো এবার জ্যোতি বসুর স্মরণ নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, আজকের এই লড়াই শুধুমাত্র সিপিএম-বিজেপির লড়াই নয়। জ্যোতি বসু (Jyoti Basu) আজও যাদের কাছে এখনও নেতাদের নেতা, জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানান। বাংলাকে আগে বাঁচান, যেটা জ্যোতি বসু আগে করেছিলেন। তারপরে যে যার নিজের পতাকার রঙ খুঁজে পাবেন।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি শমীক। জ্যোতি বসুর পাশাপাশি একাধিক বাম নেতার নাম ও রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে বামেদের আস্থা অর্জনে প্রয়াসী রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি দাবি করেন, বামপন্থীদের মনে রাখতে হবে, সুভাষ চক্রবর্তীকে (Subhash Chakraborty), লিডার অফ দ্য লিডার্স। তাঁর দূরদর্শিতা ছিল। জানতেন, এমন পরিণতি হবে একদিন। তাই ২০ জুন ১৯৪৭ সালে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। আজ সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার হাতের শিরা কাটা দেহ! পলাতক স্বামী, নিখোঁজ ছেলে


এরাজ্যে তৃণমূলের ভোটে ভাঙন ধরানো যে বিজেপির পক্ষে কার্যত অসম্ভব তা স্পষ্ট বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির কথাতেই। তাই যে কোনওভাবে প্রণাম করেও বাম কংগ্রেসের ভোট পেতে মরিয়া বিজেপি। এদিন শমীক বলেন, সেই বিধায়কদের শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচিত বলেও, শ্যামাপ্রসাদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন। প্রণাম জানাই জ্যোতি বসুকে (Jyoti Basu) এবং রতনলাল ব্রহ্মণকে (Ratanlal Brahmin)। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেছিলেন। সেই ইতিহাস যাঁরা কলঙ্কিত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
–

–
–
–

–

–

–

–
