দেশের এলিট ক্লাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জোকা আইআইএমের (IIM Joka) হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে একাধিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সত্য অনুসন্ধানে এবার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের SIT গঠন করল রাজ্য সরকার। একদিকে অভিযোগকারীনির বাবার দাবি তাঁর মেয়ের উপর কোনও নির্যাতন হয়নি, অন্যদিকে আক্রান্ত তরুণী নিজেই ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন – সত্যি মিথ্যে যাচাই করতে এবার বিশেষ তদন্তকারী দলেই আস্থা রাখছে লালবাজার (KP)। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সিটের সদস্যরা নির্যাতিতার সঙ্গেও কথা বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। সূত্র মারফত খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। শুক্রবার আলিপুর কোটে নির্যাতিতার মায়ের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন তাকে মাদক জাতীয় কোন পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ আক্রান্ত তরুনীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়েই তাঁকে জানিয়েছেন যে ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পাশাপাশি, অভিযুক্ত না নির্যাতিতা কে কার সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর ছিলেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে শুক্রবারে রাতে মহিলা হস্টেলে ঢুকলেন কী করে এবং অভিযুক্ত পড়ুয়া কতটা প্রভাবশালী এই বিষয়গুলোও জানার চেষ্টা করছে বিশেষ তদন্তকারী অফিসাররা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–