আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে নয়, স্থানীয় কর্মীরাই তাঁকে দুর্গাপুরে মোদির সভায় ডেকেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যে জানালেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ জানান, দলের তরফে এখনও কোনও আমন্ত্রণ পাননি। তবে, সভায় যাবেন। সাধারণ কর্মীর মতো নীচে বসেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনবেন।

১৮ জুলাই দুর্গাপুরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর পরেই জল্পনা শুরু হয় ওই সভায় দিলীপ ডাক পাবেন কি না! কারণ, এর আগের অনেক সভায় ডাক পাননি তিনি। এমনকী, নয়া রাজ্য সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণের দিকেও তিনি ছিলেন ব্রাত্য। তবে, পরে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করা, শমীকের মুখে দিলীপের প্রশংসা এবং দুজনের একই সময়ে দিল্লিতে থাকা রাজ্য রাজনীতিতে অনেক সম্ভাবনার উস্কে দেয়। তবে, সব জল্পনার অবসান। সোমবারই নাকি দিলীপের (Dilip Ghosh) কাছে পৌঁছে গিয়েছে দুর্গাপুরে মোদির সভায় আমন্ত্রণ। ১৭ জুলাই রাতেই দুর্গাপুর পৌঁছে যাবেন বিজেপি (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

এই বিষয় নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা। তখনই দিলীপ জানালেন, দলের তরফে আমন্ত্রণ পাননি। বলেন, “আমাকে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কিছু জানানো হয়নি।” তবে, দুর্গাপুরের বিজেপি কর্মীরা তাঁকে চান। সুতরাং, তিনি যাবেন। আর কর্মীদের সঙ্গে নীচে বসেই সভা শুনবেন।

এটা সেই দুর্গাপুর, গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের জেতা আসন থেকে সরিয়ে যেখানে দিলীপকে পাঠিয়েছিলেন বিজেপির দলবদলু মাতব্বরা। শেষ মুহুর্তে ২০২৪-এর লোকসভায় বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি দিলীপ। আর তার পরেই কার্যত একঘরে হয়ে পড়েন তিনি। বিধায়ক, সাংসদ সব পদ তো যায়ই, হারান সাংগঠিক পদও। এর পরে অনেক জাতীয় নেতৃত্ব বঙ্গ সফরে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের ঘিরে থাকা বৃত্তে স্থান হয়নি দিলীপে। সম্প্রতি রাজধানীতে দাঁড়িয়ে দিলীপ নিজে জানিয়েছেন, বিজেপির বৈঠকে তাঁকে চেয়ারটাও দিত না কেউ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন স্ত্রীক যান দিলীপ। কথা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গেও। তার পর থেকে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা- তৃণমূলে যাচ্ছেন দিলীপ, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই যোগদান। সেই জল্পনায় ধাপাচাপা দিয়ে রাজ্য সভাপতি শমীকের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন দিলীপ। আর তার থেকেই বদলাতে থাকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অবস্থান। কিন্তু মোদির সভায় আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না পাওয়ায়, তাহলে কি এখনও শমীক নব্য বিজেপিদের চাপে দিলীপের পাশে সেভাবে দাঁড়াচ্ছেন না! উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবর: একুশের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মঞ্চ তৈরির আগে ধর্মতলায় খুঁটিপুজো তৃণমূলের

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–
–
–