এই বস্তিগুলি কম করে ২৫-৩০ বছরের পুরনো। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) আমলে মরিচঝাঁপিতে (Marichjhapi) যেভাবে সিপিএম উচ্ছেদ করে সেই কায়দাতেই ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে উচ্ছেদ চলছে বলে অভিযোগ। ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশাসনের চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা। অসমে(Assam) বেআইনি উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় নির্মম আচরণ পুলিশ প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার সকালে নিম্ন অসমের (Assam) গোয়ালপাড়ার পৈকান সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন নির্বিচারে গুলি চালাল পুলিশ ও বনবিভাগের যৌথ বাহিনী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এদিনের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে তবে জখম হয়েছেন বহু মানুষ।

পুলিশের (Police) তরফে বলা হয় উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পরেই জবরদখলকারীরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তবে স্থানীয়দের বয়ানের সাথে মেলেনি সেই বক্তব্য। অসম সরকার কিছুদিন আগে যে বেআইনি জবরদখল সরানোর অভিযান শুরু করেছে, তার মধ্যে এই এলাকাও রয়েছে। গত শনিবার রাজ্য সরকার পৈকান সংরক্ষিত বনের প্রায় ১৪০ হেক্টর জমি ফাঁকা করে দেয়। বুলডোজার (Bulldoser) চালিয়ে কয়েকশো অস্থায়ী বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ভেঙে দেওয়া নির্মাণের মধ্যে বেশ কয়েকটি মসজিদও রয়েছে। সরকারের দাবি মসজিদগুলি বাংলাভাষী পরিযায়ী মুসলিমদের তৈরি করা মসজিদ। বনবিভাগের তরফে বলা হয় পুলিশ ও বনবিভাগের যৌথ দল পৈকানের কিছু বাড়ি যেগুলি আগের দিন ভাঙা সম্ভব হয়নি, সেগুলি ভাঙতে যায়। দেখা যায় আগের দিন যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয় তাঁরা কেউ ওই এলাকা ছেড়ে যাননি। তাঁরা আপাতত ছাউনির নীচে থাকছিলেন। বাহিনীকে দেখে তাঁরা লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেন ও পাথর ছুড়তে শুরু করেন। বাহিনী পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করলে হামলাকারীদের একজন মারা গিয়েছেন। যদিও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্রে খবর জবরদখলকারীরা এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু, রাজ্য সরকারের যৌথ বাহিনী তাঁদের সরাতে প্রথম থেকেই লাঠিচার্জ শুরু করে আর তার ফলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এদিনের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার ফলে তাঁদের গোয়ালপাড়া সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।

–

–
–

–

–

–
–
–

–

–
–
–