সোমবার শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। বাজেট অধিবেশন থেকে বাদল অধিবেশনের মধ্যে অল্প সময়ে দেশে ঘটে গিয়েছে নাড়িয়ে দেওয়া একাধিক ঘটনা, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। ফলে, গোটা দেশের কাছে এই বাদল অধিবেশন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অধিবেশন শুরুর আগেই তা মনে করিয়ে দিল ইন্ডিয়া জোট (INDIA alliance)। জোটের ২৪ সদস্য দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শনিবার হল ভার্চুয়াল (virtual) বৈঠক। প্রস্তুত হল মোদি সরকারের কাছে তুলে ধরার আট প্রশ্ন। তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

পহেলগাম হামলার পরবর্তীতে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে বারবার কেন্দ্রের বিবৃতি ও সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানানো হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য সরকার বৈঠক হলেও আদতে হামলার তদন্ত, তার পরবর্তীতে কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। শনিবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গুরুত্ব পায় দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই সঙ্গে উঠে আসে কেন্দ্র সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে জন্ম নেওয়া নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিউ (SIR) এবং বিভিন্ন জাতির মানুষের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ।

শনিবারের বৈঠকে কংগ্রেসের তরফ থেকে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে যেমন উপস্থিত ছিলেন তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেতা উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) প্রধান হেমন্তো সরেন, এনসিপি (NCP) প্রধান শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের (NC) ওমর আব্দুল্লাহ, সিপিআই-এর ডি রাজা, সিপিআইএমএল-এর পক্ষে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। আলোচনার সাপেক্ষে মূলত আটটি বিষয়কে বাদল অধিবেশনে প্রশ্ন হিসেবে কেন্দ্রের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি আরও একাধিক বিষয় নিয়েও আলোচনা প্রস্তাব রাখা হয়।

মূলত যে আটটি বিষয় বাদল অধিবেশনে তুলে ধরবেন ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা সেগুলি হল – পহেলগাম হামলা, অপারেশন সিন্দুর, যুদ্ধবিমান ধ্বংস প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি ও বাণিজ্য, বিহারে এসআইআর-এর নামে ভোটবন্দি, পাকিস্তান-চীন-গাঁজা নিয়ে বিদেশ নীতি, ডিলিমিটেশন প্রসঙ্গ এবং দলিত, আদিবাসী মহিলা ও পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গ।

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–