ঐতিহাসিক একুশের শহিদ সমাবেশ থেকে বাংলাভাষাকে রক্ষার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benerjee)। বিরোধী রাম-বাম-শ্যামকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী। একুশের জনপ্লাবনের সামনে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনা নিয়েও। কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারকে বঞ্চনার জবাবে ধুইয়ে দিয়ে নেত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়ে, প্রাপ্য টাকা না দিয়ে কী ভেবেছিলেন? বাংলা করতে পারে না? আমরা পেরেছি। কেন্দ্রের শত বঞ্চনা সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাজ্যে ৯৪টি জনহিতকর প্রকল্প চলছে। গরিবরা বাংলার বাড়ি পেয়েছে। বিভিন্ন ধর্মস্থানের উন্নতিকল্পে কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।
নেত্রী আরও বলেন, বিজেপি বলছে পরিবর্তন হলে নাকি বাংলায় উন্নয়ন করে দেবে! দিল্লিতে (Delhi) আপনারা ১১ বছর ধরে আছেন সেখানে কী উন্নয়ন করেছেন? বছরে ২ কোটির ভাঁওতা দিয়েছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেও দেয়নি। কালো টাকা ফেরত আনবেন বলেছিলেন, পারেননি। আর বলছেন বাংলায় উন্নয়ন করবেন!
বিজেপির পাশাপাশি হার্মাদ বামপন্থীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ— বামপন্থীদের কথা ছেড়েই দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা টাকা ঢেলে বসে আছে। নরকঙ্কালের সরকার বাংলাটাকে শেষ করে দিয়েছিল। যারা বাংলাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তাদের আমরা সম্মান করি না অসম্মানও করি না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। জগাই-মাধাই-গদাইদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে চলবে। দলনেত্রীর আরও সংযোজন, মনে আছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা? মনে আছে একুশে জুলাইয়ের আন্দোলনের কথা? যাঁরা জানেন না, আমার লেখা বইগুলো পড়ুন। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম এমনি-এমনি হয়নি, অনেক লড়াইয়ের ফসল। যত কুৎসা করবেন, তৃণমূলের ভিত আরও শক্তিশালী হবে! তৃণমূলকে শেষ করা অত সহজ নয়। যাঁরা ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি দিয়ে, অভিষেককে গালাগালি দিয়ে তাঁরা পার পেয়ে যাবেন, ভুল ভাবছেন। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় শূন্য থেকে মহাশূন্য পৌঁছে যাবেন। এবারের খেলায় বিজেপিকে একেবারে বোল্ড আউট করতে হবে আর সিপিএমকে মহাশূন্যে পাঠাতে হবে। আরও পড়ুন: জগন্নাথধামের পরে বাংলায় তৈরি হবে দুর্গাঙ্গন: ঘোষণা মমতার
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–