ভুয়ো পাসপোর্ট, ভুয়ো পরিচয়পত্র নয়, একেবারে ভুয়ো দূতাবাস (Fake embassy) এবং ভুয়ো রাষ্ট্রদূত (Fake ambassador)। রাজধানী দিল্লি (Delhi) থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে গাজিয়াবাদে (Gaziabad) এমনই এক নকল দূতাবাসের সন্ধান পেল পুলিশ। বিলাসবহুল প্রাসাদোপম বাড়ি, একাধিক দামি গাড়ি আর একজন ‘রাষ্ট্রদূত’। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘ওয়েস্টার্কটিকা’ (Westarctica) নামে আন্টার্কটিকার এক অস্বীকৃত ক্ষুদ্র দেশের নাম করে ভুয়ো দূতাবাস চালাতেন হর্ষ বর্ধন নামে এক ব্যক্তি। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজ়িয়াবাদের কবিনগর এলাকায় একটি বিশাল বাড়ি ভাড়া নিয়ে দূতাবাস গড়ে তুলেছিলেন হর্ষ। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি, যার নম্বর প্লেট দেখে মনে হতো সেগুলি কূটনীতিকদের। হর্ষ নিজেকে ‘ওয়েস্টার্কটিকা’র রাষ্ট্রদূত বলেই পরিচয় দিতেন। শুধু ওয়েস্টার্কটিকাই নয়, সাবোরগা, পুলভিয়া এবং লোডোনিয়ার মতো আরও কিছু ‘ক্ষুদ্র দেশের’ ভুয়ো কূটনীতিক হিসেবেও নিজের পরিচয় দিতেন তিনি।

এসটিএফ জানিয়েছে, ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি, ১২টি জাল কূটনৈতিক পাসপোর্ট,(Passport) ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের স্ট্যাম্প-সহ একাধিক জাল নথি। এছাড়া পাওয়া গেছে দু’টি জাল প্যান কার্ড, ৩৪টি রবার স্ট্যাম্প, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও প্রায় সাড়ে ৪৪ লক্ষ টাকা নগদ। তল্লাশির সময় উদ্ধার হয়েছে দু’টি জাল সাংবাদিক পরিচয়পত্রও। তদন্তকারীদের মতে, হর্ষ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এমনকি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ থাকারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তদন্তে।

এসটিএফ জানিয়েছে, এই ভুয়ো রাষ্ট্রদূত পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি বহু জায়গায় বিশেষ সুবিধা আদায় করেছেন। তবে ঠিক কীভাবে এবং কতটা পরিমাণে প্রতারণা চালিয়েছেন, তা জানতে তদন্ত চলছে। তবে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, এত দিন কীভাবে এমন একটি ভুয়ো দূতাবাস প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছিল?

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–