বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গোপন ভিডিও ঘিরে তোলপাড় স্যোশাল মিডিয়া। তবে, ওই ভিডিও ভুয়ো। স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষ মজুমদার (Rinku Majumder)। ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’-কে তিনি স্পষ্ট জানালেন, যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সেটি ভুয়ো। তদন্ত করলেই সব প্রকাশ পাবে। দিলীপের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই অপচেষ্টা। যার শিকার হচ্ছেন তিনিও। একই সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়াকেও তুলোধনা করেন রিঙ্কু। তাঁর কথায়, স্যোশাল মিডিয়ার এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় আঘাত পেয়েই হয়ত তাঁর পুত্রকে আকালে চলে যেতে হল।

শুক্রবার সকালে একটি গোপন ভিডিও নিয়ে চর্চায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এক মহিলা-পুরুষের সেক্স ভিডিও (Video) ভাইরাল। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’।) ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) যিনি পোস্ট করেছিলেন, তিনিও সেটি মুছে ফেলেছেন। তবে, ভিডিও দেখে অনেকের দাবি পুরুষটি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেউ আবার বলছেন, তিনি নন।

এই বিষয় নিয়ে ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’ দিলীপ-পত্নী রিঙ্কুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তাঁর দাবি, এই ভিডিও সম্পূর্ণ ফেক। তদন্ত করলেই সেটা স্পষ্ট হবে। রিঙ্কুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে দিলীপ ও তাঁকে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। রিঙ্কুর কথায়, এই ভিডিও-র জেরে শুধু তো দিলীপ ঘোষ নন, তাঁকেও অপমানিত হতে হচ্ছে। এমনকী, ভিডিও-তে থাকা মহিলা তিনি বলেও নাকি অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ দিলীপ (Dilip Ghosh) পত্নীর। ধর্ষণের অভিযোগ তোলার হুমকি দিয়েই না কি দিলীপকে বিয়ে করেছেন- এই কুৎসাও তাঁকে শুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিঙ্কু। বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। তিনি জানান, রাজনীতিই তাঁর আর বিজেপি নেতার মধ্যে কমন বিষয়। তিনি চাইলে কোনও কোনও পেশার মানুষককে বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু সমমতাদর্শের দিলীপ ঘোষ বয়সে ১৫ বছরের বড় হলেও তাঁকেই বিয়ে করেছেন রিঙ্কু। জীবনে শান্তি পাবেন বলেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার পর থেকেই সকলেই তাঁদের নিশানা করছেন বলে মত দিলীপ-পত্নীর। বিয়ের পর থেকে অনেকেই খারাপ বিরূপ মন্তব্য করছেন। এখন মনে হচ্ছে আমার বিয়েটা না করলেই ভালো হত। যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় এই ধরনের কুৎসা করা হচ্ছে, সবাইকে শনাক্ত করে শাস্তির দেওয়ার দাবি করেন দিলীপ-জায়া।

তাঁর নিশানা কি নিজের দলের নেতৃত্বের দিকে? প্রশ্ন করতেই গুটিয়ে নিলেন রিঙ্কু। বললেন, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করে তিনি আর বিতর্ক তৈরি করতে চান না। তবে, এটা ওপেন সিক্রেট। রিঙ্কুর কথায়, এটা দিলীপের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই করা হয়েছে। আর তার শিকার হচ্ছেন তিনিও।

এর পরেই সন্তানহারা মা কাঠগড়ায় তোলেন স্যোশাল মিডিয়াকে। তাঁর অভিযোগ, স্যোশাল মিডিয়ায় এই কুৎসার জন্যেই হয়ত অকালে চলে যেতে হল তাঁর তরুণ পুত্রকে। বলতে গি দিলীপ-রিঙ্কুকে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়া যে ধরনের কমেন্ট করা হয়েছে সেই সবই চোখে পড়েছিল তাঁর ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর। সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরেই হয়ত চলে গিয়েছেন তিনি। মনকষ্টেই হয়ত মাদকাশক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রিঙ্কুর আক্ষেপ, শেষ সময়ও ছেলের পাশে থাকতে পারেননি তিনি। তবে এই ভিডিও যে ফেক- তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই রিঙ্কুর।
আরও খবর: পুলিশের পরীক্ষা দিতে এসে গণধর্ষিতা! যোগীরাজ্যের পথ ধরে বিহারেও বিপদে নারী

–

–

–

–

–
–
–
–
–