ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর—এই কুর্মি-প্রধান জেলাগুলিতে প্রাথমিক স্তরে কুর্মালি ভাষাকে শিক্ষা মাধ্যম হিসেবে চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে কুর্মি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার দাবির প্রেক্ষিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই রাজ্যের তপশিলি জাতি উপদেষ্টা পরিষদকে চিঠি পাঠিয়ে মতামত চেয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুর্মালি ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সাঁওতালি ভাষার ক্ষেত্রে যেভাবে বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের মধ্যেই সাঁওতালি বিভাগ চালু করা হয়েছে, সেই পথেই কুর্মালি ভাষাকেও বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের মধ্যে চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

চিঠির সঙ্গে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত একাধিক কুর্মি সংগঠনের প্রতিনিধিত্বমূলক আবেদনও সংযুক্ত করা হয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কমিটিতে কুর্মালি ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যারা বাংলা ভাষা থেকে কুর্মালি ভাষায় প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ও পাঠ্যক্রম অনুবাদের কাজ শুরু করবেন।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁওতালি মাধ্যম শিক্ষার মডেল অনুসরণ করেই কুর্মালি ভাষার শিক্ষার কাঠামো তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা কমিশনারের সুপারিশ ও শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব জারি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ কুর্মি সম্প্রদায়ের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক অধিকারের স্বীকৃতির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন – আজ আমি চাঁদ পেয়েছি, মোহন রত্ন পেয়ে চোখ ভিজলো টুটুর

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_