নির্বাচন কমিশন যে কোনওভাবেই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, ফের একবার স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতায় দায়ের মামলায় কমিশনকে তাদের প্রকাশিত নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পর্যবেক্ষণ, ব্যাপকহারে ভোটার (voter list) তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন।

নির্বাচন কমিশন (ECI) শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল তারা ১ অগাস্ট খসড় তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে। সেখানেই মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, যাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তাঁরা আর আবেদনও করতে পারবেন না তালিকায় নথিভুক্ত করার জন্য। সেখানেই বিচারপতি সূর্য কান্তর স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, যদি কোনওভাবে নিজেদের বিজ্ঞপ্তি থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন, আদালত হস্তক্ষেপ করবে।

বিহার নির্বাচনী ভোটার তালিকার (voter list) খসড়া তালিকা ১ অগাস্ট প্রকাশিত হলে তবে কাদের নাম রয়েছে তালিকায় তা পাওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই কমিশন জানিয়েছে বিহারের ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে ভোটার তালিকা থেকে। সেক্ষেত্রে এই তালিকা থেকে বোঝা সম্ভব হবে না কাদের নাম বাদ পড়েছে। ফলে যাদের নাম বাদ পড়বে তাঁরা কীভাবে জানতে পারবেন তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

আরও পড়ুন: পহেলগাম হামলায় ব্যর্থতা স্বীকার: সংসদে হামলাকারীদের নিকেশ প্রমাণের চেষ্টা শাহর

সুপ্রিম কোর্ট আশ্বস্ত করে, নির্বাচন কমিশন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের তালিকার সঙ্গে মিল রেখে খসড়া তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ হিসাবে আমরা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাচ্ছি। যদি ব্যাপক হারে তালিকা (voter list) থেকে নাম বাদ যায়, তবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নেওয়ার পর্যবেক্ষণ জানায় বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলি যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে জানাতে সমর্থ হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে অগাস্টের মাঝামাঝি রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
–

–

–

–
–
–

–

–
–