তিস্তার ভয়াল রূপ গত কয়েকদিন ধরেই সমস্যায় রেখেছে উত্তরের রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের। একদিকে তিস্তার জল উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কালিম্পং-দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ। অন্যদিকে কালিম্পংয়ের (Kalimpong) একাধিক জায়গায় ধস (Land slide) নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিমের (Sikkim) সঙ্গে যোগাযোগ। বুধবার সকালেও ধসের জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া চালাতে থাকে প্রশাসন।

সোমবার থেকেই টানা বৃষ্টি উত্তরের একাধিক জেলায়। তার জেরে মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামা শুরু হয়। বুধবার সকালেও নতুন করে ধস নামায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। কালিম্পং জেলার তারখোলায় একাধিক জায়গায় ধস নামায় কার্যত সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়ে পড়েছে বাংলা-সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা। দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়, বহু মানুষ আটকে পড়েন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সড়ক পরিবহন দপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে।

সিকিমের জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ বাংলা সিকিম (Sikkim) যোগাযোগ। বিরিক দারাতে অনেক জায়গায় ভূমিধসের (land slide) কারণে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ রাত থেকে শুরু হয়েছে। সিকিমে সিংতামের রাস্তায় ফাটল। লাভা হয়ে কালিম্পং ঘুরে যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে। পর্যটকরা অধিকাংশ গন্তব্য বদল করে দার্জিলিংয়ের দিকে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপ- মৌসুমী অক্ষরেখার ত্রিফলা, রাজ্যজুড়ে সারাদিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস!

অন্যদিকে তিস্তার জল কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। বুধবার গজলডোবায় তিস্তা (Teesta) ব্যারেজ থেকে ১৭৬২.৫৩ কিউসেক জল ছাড়া। যার ফলে মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। তিস্তায় লাল সতর্কতা জারির পাশাপাশি, জলঢাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

–

–

–

–

–

–
–
–
–