সরকারি কর্মচারীরা ভালো কাজ করলে মানুষ বাইরে গিয়ে প্রশংসা করেন। তাই সরকারের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে আপনাদের গুরুত্ব অপরিসীম। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠানে বললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ফেডারেশন হুগলি ডিস্ট্রিক্ট কমিটির উদ্যোগে রক্তদান ও রাখী বন্ধন উৎসব পালিত হয়। মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পদক কুণাল ঘোষ বলেন, কোনও মানুষ পরিষেবা নিতে সরকারি দফতরে গেলে সরকারি কর্মচারীদের কাজ আর ব্যবহার দেখেই বাইরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসা করবেন। তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বলেন, আপনি যদি তাঁকে সন্তুষ্ট করেন তবে তিনি পরে বলবেন বাংলার সরকার ভালো কাজ করেছে। আবার উল্টো ঘটনা ঘটলে সেই দায় পড়বে সরকারের ঘাড়ে। তাই এক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা আর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।

এদিনের অনুষ্ঠানে কুণাল বলেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের অনেক শাখা সংগঠন আছে। কিন্তু যখন মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার শাসক দল, তখন রাজ্য সরকারি ফেডারেশনের দায়িত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা শুধু দল নয় সরকারের মুখ। মুখ্যমন্ত্রী জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেন, মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাকে বাস্তব রূপ দেন। এখানেই এই সংগঠনের তাৎপর্য। অর্থাৎ আপনারাই সরকারের মুখ। রবিবার সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি সরকারি দফতরে বসে যাঁরা অন্তর্ঘাতের ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদের চিহ্নিত করার নির্দেশও দেন। ছাব্বিশের কথা মাথায় রেখে তরুণ প্রজন্মের কাছে এই সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার অনুরোধও করেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গও। তৃণমূল নেতা বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলার টাকা আটকে রেখে এই সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে। বিমানবন্দরে বাংলাদেশি ধরা পড়া প্রসঙ্গে বলেন ,’ধরা পড়লে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের।কারণ জল স্থল অন্তরীক্ষ তিনটেই হল কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত।মাস দুয়েক আগে আগরতলাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশি রোহিঙ্গা।এখন বলছেন কলকাতা থেকে ধরা পড়েছে।এরা ঢুকলো কোথা থেকে ত্রিপুরা থেকে।এটা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। বিএসএফ এবং অন্যান্য এজেন্সি তাদের দায়িত্ব। কেন সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারছে না। যদি কেউ বাংলাদেশে ঢুকে থাকে তাহলে ঢুকছে কীকরে?’ তিনি বলেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম- কংগ্রেস শূন্যই থাকবে। বিজেপি ৩০ পেরোবে না। তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন এবং চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দেশ অগাস্টে ডাক দিয়েছিল ব্রিটিশ তুমি ভারত ছাড়ো। তৃণমূল কংগ্রেস ডাক দিচ্ছে বিজেপি তুমি বাংলা ছাড়ো, বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো।

–

–

–

–

–

–

–

–
–