কাপুরুষের মতো মার্শাল দিয়ে ঘিরে বিল পেশ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বুধবার, সংবিধান সংশোধনী বিল পেশের পরেই গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভা নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি অভিযোগ করেন, SIR থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। অমিত শাহকে (Amit Shah) নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মানুষের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। শুধু যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করছে।” অভিষেকের আশঙ্কা, কথায়, “কাউকে রাজনৈতিক শত্রুতায় গ্রেফতার করা হলে তিনি আর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকুও পাবেন না।”
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “আমি বলছি ৩০ দিন দরকার নেই, গুরুতর অভিযোগে ১৫ দিন জেলে বন্দি রাখুন। ১৬তম দিনে যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে যারা গ্রেফতার করে বন্দি করল তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি।“
কাপুরুষের মতো মার্শাল দিয়ে ঘিরে বিল পেশ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বুধবার, সংবিধান সংশোধনী বিল পেশের পরেই গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভা নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি অভিযোগ করেন, SIR থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। অমিত শাহকে (Amit Shah) নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মানুষের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। শুধু যে কোনও মূল্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করছে।” অভিষেকের আশঙ্কা, কথায়, “কাউকে রাজনৈতিক শত্রুতায় গ্রেফতার করা হলে তিনি আর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকুও পাবেন না।”
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “আমি বলছি ৩০ দিন দরকার নেই, গুরুতর অভিযোগে ১৫ দিন জেলে বন্দি রাখুন। ১৬তম দিনে যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে যে অফিসার গ্রেফতার করবে তাকেও দ্বিগুণ সময় জেলে রাখতে হবে। পারবেন? তাহলে বুঝব, আপনার ৫৬ ইঞ্চির ছাতির রয়েছে।” “
মোদি সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “বিরোধীদের দমন করতেই এই বিল। বিজেপি ভয় পায়, তাই তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করছে।”
জন উন্নয়নের আগ্রহ নেই মোদি সরকারের, নজর ঘোরাতেই এই বিল বলে কটাক্ষ অভিষেকের। তিনি বলেন, “৩০৩ থেকে ২৪০-তে নেমে এসেছে বিজেপি। ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আজ এমন বিল আনা হচ্ছে। জনগণের সমস্যা নিয়ে এদের কোনও মাথাব্যথা নেই। জিনিসপত্রের দাম আগুন, কৃষক পাচ্ছেন না ফসলের দাম, সীমান্ত সুরক্ষা, বেকারত্ব— কোথাও সরকার কার্যকর নয়।”
বিজেপির থেকে নৈতিকতার পাঠ তৃণমূল নেবে না বলে মন্তব্য করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীনও টালির চালে থাকতেন আজও সেখানে থাকতেন। আমরা তার কাছ থেকে নৈতিকতার পাঠ শিখব নাকি ৫০০ কোটির পার্টি অফিস করে যারা, সেই বিজেপি আমাদেরকে নৈতিকতার পাঠ দেবে?”
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তুলোধনা করে অভিষেক বলেন, “ইডি ৫৮৯২টি কেসে তদন্ত করেছে, মাত্র ৮টির নিষ্পত্তি। ০.১৩ শতাংশ সফলতা। তাহলে উদ্দেশ্য কী? দুর্নীতি রোখা, না বিরোধীদের ধ্বংস করা?”
বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “বিজেপির ২৮ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে খুন, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ। তাও তো তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেই। শুভেন্দু অধিকারী কিংবা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ নেই। আমাদের জন্য এক আইন আর বিজেপির জন্য অন্য আইন? তাহলে কি এই বিল শুধু বিরোধীদের জন্য?”
বিজেপিকে প্রকাশ্য বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, “মঞ্চ ঠিক করুন। বিতর্ক হোক। দুধ-জল আলাদা হয়ে যাবে।”