স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মেনে বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock) এবং রাত্তিরের সাথী রূপায়ণে এবার আরও কঠোর হল রাজ্য। বায়োমেট্রিক অ্যাকসেস সিস্টেম নিয়ে রাজ্য সরকার জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট (Report) তলব করল সমস্ত হাসপাতালের কাছে।

আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তায় আরও জোর দিয়েছিলেন। সেইমতো ঘোষণা করেছিলেন বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock) সিস্টেম এবং রাত্তিরের সাথী অ্যাপ চালু করার কথা। সেইমতো হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক লকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতেই এই বায়োমেট্রিক অ্যাকসেস সিস্টেম।

হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার দেখতে চাইছে, সমস্ত হাসপাতালে বায়োমেট্রিক লক বসানো হয়েছে কি না এবং তা সঠিকভাবে কাজ করছে কি না। রাজ্য আরও সুনিশ্চিত করতে চাইছে, কোন কোন হাসপাতাল এই বায়ো-লক সিস্টেম চালুর নির্দেশ মানছে না। তাই জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট তলব। কোন হাসপাতালে এবং কত বায়ো-লক কাজ করছে না তারও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব।

এক বছর আগে হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘রাত্তিরের সাথী’ অ্যাপ চালু করার কথাও জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি একথাও জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত করতে কিছুটা সময় লাগবে। হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই টাকা কোন কোন খাতে খরচ হবে তা নিয়েও বিস্তারিত নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে থেকে প্রচুর লোক হাসপাতালে ঢোকে। সেই কারণেই বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয় বায়োমেট্রিক অ্যাকসেস সিস্টেমে। হাসপাতালের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বাগ্রে সুনিশ্চিত করতে চান তিনি।
আরও খবর: খাস শিয়ালদহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশী-রোহিঙ্গা’ তকমা! মারধরের অভিযোগ

–

–

–

–

–

–

–