খেলার মাঠে বিস্ময় বালকদের কথা প্রায়ই শোনা যায়। তারা খবরের শিরোনামে উঠে আসে তাদের ক্রীড়া প্রতিভার জোরে। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ান হপ্ট(Cristian Hopt) বেসবল খেলাতে খুব বেশি কীর্তি এখনও করতে পারেনি কিন্তু খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে অন্য একটা বিষয়ে।
জাতিস্মর কথাটা প্রায়ই শোনা যায়। পূর্বজন্মের কথা তারা অনায়াসে বলে দিতে পারে। ক্রিশ্চিয়ান হপ্ট(Cristian Hopt) এমনই একজন বলে দাবি তার মায়ের। ২০০৮ সালে জন্ম ক্রিশ্চিয়ানের। ছোট থেকেই তার বেসবলের প্রতি আগ্রহ। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল ক্রিশ্চিয়ানের মা- বাবার এই খেলার প্রতি আগ্রহ নেই।

ক্রিশ্চিয়ানের মা ক্যাথি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বেসবল খেলার প্রতি কখনই আগ্রহ ছিল না। ক্যাথি নিজেও বেসবল থেকে অনেক দূরে থাকেন। ক্রিশ্চিয়ান শৈশব থেকেই বেসবল খেলার প্রতি আগ্রহী। শৈশব থেকেই সে বেসবল খেলাতে খুবই দক্ষ। শুধু তা-ই নয়, প্রশিক্ষণ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও সমানভাবে টক্কর দিতে পারে ক্রিশ্চিয়ান। কিন্তু এত অল্প বয়সে কীভাবে এত দক্ষ বেসবল খেড়োয়ার হয়ে উঠল ওই বালক?

এখানেই উঠে আসছে অবাক করা দাবি। ক্রিশ্চিয়ান(Cristian Hopt) আগের জন্মেও বেসবল খেলোয়াড় ছিল। এমনটাই দাবি তার মায়ের। ক্যাথির দাবি, ছেলে তাকে ইশারায় বুঝিয়ে বলত যে, সে আগের জন্মে একজন বেসবল খেলোয়াড় ছিল। সে নাকি বেশ লম্বাও ছিল। এখানেই থেমে না থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, ১৯২০ সাল থেকে ১৯৩০-এর দশকে ক্রিশ্চিয়ান বেসবল খেলত। স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণে খেলা থেকে অবসর নিয়ে নেয় সে। ২ বছর পর ৩৭ বছর বয়সে ১৯৪১ সালে মারা যায় সে। চমক আরও আছে, এক দিন ক্যাথি তাঁর পুত্রকে নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিস বেসবল দলের একটি পুরনো ছবি দেখান। একটি পুরানো ছবি দেখে ক্রিশ্চিয়ান নিজেকে চিনতে পারেন।

ক্রিশ্চিয়ানের এমন দাবি শুনে তাকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মনোবিদ। জিম টাকার নামে মনোবিদ ক্রিশ্চিয়ানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, বাচ্চা ছেলেটি মনগড়া কথা বলছে। তার জাতিস্মর হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

মনোবিদ যতই বলুন, মা কিন্তু নিজের সন্তানের কথা অস্বীকার করতে পারছেন না। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ছেলেকে নিয়ে একটি বই লিখে ফেলেন ক্রিশ্চিয়ানের মা। ‘দ্য বয় হু নিউ টু মাচ’ নামের বইয়ে ক্রিশ্চিয়ান এবং তার ‘পূর্বজন্মের কথা’ লিখেছেন করেন ক্যাথি। কথাতেই আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।

–

–

–

–

–

–