বাংলা চিরকালই প্রতিবাদী চরিত্র। বাংলার মানুষ কোনও দিন অন্যায় সহ্য করেনি, আজও করবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাই বাংলা-বিরোধী বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। মঙ্গল-বুধের পর বৃহস্পতিবারও ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং উত্তাল হল তৃণমূল কংগ্রেসের ভাষা-আন্দোলনে।

সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন ধরনা কর্মসূচিতে বিজেপির বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়হিন্দ বাহিনী। এদিন ধরনামঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বাংলাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা ব্রিটিশরা করেছিল। কারণ, সারা ভারতে কোথাও তাদের এত বেগ পেতে হয়নি। একমাত্র তৎকালীন অবিভক্ত বাংলাকে দমন করতে পারেনি ইংরেজরাও। বাংলা কোনওদিন অন্যায় মেনে নেয়নি, আজও মানবে না।

জয় হিন্দ বাহিনীর ধরনামঞ্চে হাজির হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার প্রতি, বাংলা ভাষার প্রতি বিজেপির ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু হচ্ছিল তো মেয়ো রোডে। এখানে ধর্মতলায় আনতে হল কেন? কারণ, তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে পারছে না বিজেপি। বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা বন্ধ করে রেখেছে। সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়েও তৃণমূলকে বাগে আনতে পারছে না। শেষপর্যন্ত সেনাবাহিনীকে নামাতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠেকাতে। আমরা সেনার বিরুদ্ধে নই, সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। কিন্তু যারা সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করছে, আমরা তাঁদের বিরোধিতা করছি। ২০২৬ সালে ২৫০-এর বেশি আসন নিয়ে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে কোনও দ্বিধা রাখবেন না। লিখে রাখুন, মিলিয়ে নেবেন। এদিন সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জয় হিন্দ বাহিনীর ধরনা কর্মসূচিতে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপরঞ্জন বক্সি, সন্দীপন সাহা-সহ তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর কর্মী-সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২৬- এর নির্বাচন, হাওড়া-ঝাড়গ্রাম জেলা নেতৃত্বকে নিবিড় জনসংযোগে জোর দেওয়ার বার্তা অভিষেকের

_

_

_
_
_

_
_
_