দিনভর তীব্র অরাজকতা। পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর। শেষমেষ পদত্যাগ রাষ্ট্রপতিরও। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে দেশের গণতন্ত্র (democracy) ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তা নিয়ে সরগরম নেপালের (Nepal) রাজনীতি। বিভিন্ন সময়ে নেপালের জেন-জিকে (gen Z) আন্দোলনে উস্কানি দেওয়া নেতাদের সোমবারের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

দুর্নীতি, স্বজনপোষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত নেপালে ভাঙচুর ও লুটপাটের সুযোগ নিতে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। বড় বড় শপিংমল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি সংবাদপত্রের দফতরে বুধবার সকালেও ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর রেশ ধরা পড়ে। কান্তিপুরের (Kantipur) মিডিয়া সেন্টারের পুড়ে যাওয়া বিল্ডিং থেকে বুধবার সকালেও ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। অশান্তি বন্ধে, দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয় নেপাল সেনাবাহিনী (Nepal Army)।

মঙ্গলবার রাতেই নেপাল সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অশোক রাজ শিগদেল (Ashok Raj Sigdel) শান্তিপূর্ণ আলোচনার বার্তা দেন। সেই সঙ্গে ঘোষণা করেন, নেপালের শান্তি, নিরাপত্তা, সম্প্রীতি ও জাতীয় সংহতির দায়িত্ব নিচ্ছে নেপালের সেনাবাহিনী। বুধবার সকাল থেকে কাঠমান্ডু, কান্তিপুর, ললিতপুর প্রভৃতি এলাকায় ফের জারি হয় কার্ফু (curfew)। গ্রেফতার করা হয় অন্তত ২৬ হামলাকারীকে।

অন্যদিকে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে নেপালে, তা নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতেই আলোচনায় বসে নেপালের সেনা এবং জেএন-জি (gen Z) প্রতিনিধিরা। জঙ্গি আড্ডায় সেনাবাহিনীর সদর দফতরে জেন-জি প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে প্রাথমিক আলোচনা হয়, মঙ্গলবার রাতে তাকে শুধুমাত্র দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ বলে উল্লেখ করা হয় নেপাল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: পরিস্থিতি খুব খারাপ! পানিট্যাঙ্কি দিয়ে নেপাল-ফেরৎ ভারতীয়রা প্রাণ ফিরে পেলেন

অন্যদিকে বুধবার ভোরে নেপাল সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে ভারত নেপাল সীমান্তের তিন এলাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত শুরু হয়। যদিও সকাল ন’টায় ফের নেপাল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সীমান্ত দিয়ে কোনরকম যাতায়াত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভারতের পক্ষ থেকেও সেই নির্দেশের পালন করা হয়। অন্যদিকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নেপাল ভ্রমণে সতর্কতা জারি করা হয়।

–

–

–

–


