গবেষক থেকে পরিযায়ী শ্রমিক: রাজ্যের উদ্যোগে নেপাল থেকে নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা

Date:

Share post:

অশান্ত নেপাল থেকে যে কোনওভাবে নিজের দেশে ফিরতে ব্যস্ত ভারতীয় নাগরিকরা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় প্রৌঢ়ার। তবে বাংলার বাসিন্দারা এখনও সেখানে সুরক্ষিত। এবং ভারত-নেপাল সীমান্ত (Indo-Nepal border) থেকে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করছে বাংলার প্রশাসন। সেই পথেই বাড়ি ফিরলেন একদিকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা (migrant labour)। অন্যদিকে বাংলা ও ভিন রাজ্যের গবেষকদের (PhD scholars) একটি দলও ফিরল দেশে।

মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেপালের অশান্তির পরিস্থিতিতে আগেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যাতে দ্রুত ঘরে ফেরা নিয়ে কেউ তাড়াহুড়ো না করেন। পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেই তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। সেই মতো খবর পাওয়া যায় বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ ব্লকের মলিয়ান, সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর-সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক (migrant labour) আটকে পড়েছেন নেপালে। সেই শ্রমিকদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিল রাজ্য সরকার।

একসময় বিখ্যাত ছিল বাঁকুড়া (Bankura) জেলার কাঁসার বাসন শিল্প। এখন পরিয়ায়ী শ্রমিক হিসাবে অনেকেই কাজ নিয়ে চলে যান নেপালের বীরগঞ্জ, কাঠমান্ডু-সহ বিভিন্ন এলাকার কাঁসার বাসন তৈরির কারখানায়। সাম্প্রতিক অশান্তিতে সেখানেই আটকে পড়েন বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ ব্লকের মলিয়ান,  সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর-সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক। নেপালের অশান্তি ও কার্ফুর জেরে তাঁরা সেখানকার কারখানাগুলিতেই কার্যত কদিন বন্দি হয়ে ছিলেন। ভারতীয়দের দেশে ফেরার জন্য দৈনিক কয়েক ঘণ্টা কার্ফু (curfew) শিথিল হতেই তাঁদের কেউ কেউ হেঁটে, আবার কেউ বাড়তি টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। বীরগঞ্জ থেকে অনেকে পায়ে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছান বিহারের রক্সৌলে। সেখান থেকে রাজ্যের উদ্যোগে ট্রেনে বাড়ি ফিরে আসতে সক্ষম হলেন নয়জন পরিযায়ী শ্রমিক (migrant labour)।

আরও পড়ুন: সেনার মঞ্চ আদতে বিজেপির বক্তৃতার জায়গা: শুভেন্দুকে আদালতের ভর্ৎসনায় সেটাই প্রমাণিত

নেপালে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর এক সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বারোবিশার বাসিন্দা মণিহার তালুকদার। সে মেঘালয়ের উমিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে এই রাজ্যের আরও দুই এবং ত্রিপুরার এক পিএইচডি স্কলারও (PhD scholar) ছিলেন। যেদিন তাঁদের সেমিনার শেষ করে ফিরে আসার কথা ছিল, সেদিনই কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগোলে তাঁরা গাড়ি ভাড়া করে বিহারের রক্সৌল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছন। তাঁদের নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে বাংলার প্রশাসন।

spot_img

Related articles

চন্দননগর নয়! কোথা থেকে সূচনা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর? জানুন ইতিহাস 

জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরের ছবি—চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা আর অসংখ্য দর্শনার্থীর...

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সহজ জয়, কোন অঙ্কে বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত?

ভাইফোঁটার দিনেই মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে(ICC Women World cup) সেমিফাইনালে স্থান নিশ্চিত করল ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫৩...

চাপ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়: বিস্ফোরক নারদ মামলার প্রথম তদন্তকারী CBI আধিকারিক

বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নারদ (Narada Case) মামলার প্রথম তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক রঞ্জিত কুমারের (Ranjit Kumar)। একটি অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি...

সিরিজ হারের দিনেই বিরাট প্রশ্ন কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়েও

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়একদিনের ম্যাচে হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে(India Team)। সেই সঙ্গে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে...