রাজস্ব চাই, নাকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা চাই? বিজেপি পরিচালিত দিল্লি সরকার যে পথ ধরেছে, তাতে উত্তর স্পষ্ট! সরকারের চোখে রাজস্বই সবার আগে। এতদিন পর্যন্ত রাজধানীতে মদ্যপানের বয়সসীমা ছিল ২৫ বছর। হঠাৎ তা নামিয়ে আনা হল ২১-এ। সরকারের যুক্তি, এতে কালোবাজারি বন্ধ হবে, বাড়বে রাজস্ব।

কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য একেবারেই উল্টো। তাঁদের মতে, সরকারের এই নীতি আসলে তরুণদের হাতে মদের বোতল তুলে দিয়ে বিপথে ঠেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ তীব্র, ২১ বছরের ছেলেমেয়েরা এখনও কলেজ পড়ুয়া। এই বয়সে হাতে মদের লাইসেন্স তুলে দেওয়া মানে তাদের জীবন ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া। বিরোধীদের অভিযোগ, একদিকে দিল্লি সরকার মদ বিক্রিতে ছাড় দিচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দুর্ঘটনা। এত প্রাণহানি, এত ক্ষতি সরকারের চোখে পড়ছে না? রাজস্বের লোভেই শুধু এই নীতি।

রাজস্ব বাড়ানোই যদি একমাত্র লক্ষ্য হয়, তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানে গাফিলতি ঢাকতে সরকার কি এখন মদ বিক্রির ওপর নির্ভর করছে?প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির নয়া আবগারি নীতি কি আসলে ‘রাজস্বতৃষ্ণা’র নামে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া নয়?

আরও পড়ুন – যাদবপুর-আরজি কর ইস্যুতে কেন নীরব অভয়ার বাবা-মা? প্রশ্ন কুণালের

_

_

_

_

_

_
_