কলকাতা মেট্রো পরিষেবার (Kolkata Metro Service) বেহাল দশার প্রতিবাদে ফের পথে নামল জাতীয় বাংলা সম্মেলন (Jatiyo Bangla Sammelan)। শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর মেট্রো রেল ভবনের সামনে প্রতীকী অবস্থান-বিক্ষোভ করেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। পরিষেবার লাগাতার অবনতি, যাত্রী নিরাপত্তার ঘাটতি ও পরিকাঠামোগত দুর্বলতার বিরুদ্ধে এ দিন রেল কর্তৃপক্ষকে ফের স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস, সমাজকর্মী সুশান রায়, মানবাধিকার কর্মী বাসুদেব ঘটক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য, সংগীত শিল্পী অমিত কালি, দেবারতি সরকার-সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
গত ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাত ধরে চালু হয়েছে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর তিনটি নতুন শাখা। তবে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের অভিযোগ, এই সম্প্রসারণ প্রকল্প যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর বদলে আরও বাড়িয়েছে। ব্লু লাইন মেট্রোতে (Blue Line Metro) যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও, রেকের সংখ্যা বাড়েনি। প্রযুক্তিগত ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি, ট্রেন বাতিল এবং দেরিতে চলা—সব মিলিয়ে প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। সংগঠনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস বলেন, মেট্রো নির্দিষ্ট সময়ে না এলে, এক ট্রেনে তিন ট্রেনের যাত্রী উঠছে। অতিসংখ্যক যাত্রীর ভিড়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চলন্ত ট্রেন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ৩০-৪০ মিনিট, কোনও ঘোষণাও নেই। সম্প্রতি দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে (Dakshineswar Metro Station) এক কিশোর কিশোরীকে ছুরি দিয়ে খুন করে। বিশ্বজিৎ পাকড়াশী নামে এক যাত্রী রেলের সময়ানুবর্তিতা না মানার কারণে অতিরিক্ত ভিড়ে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারান। এই ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। আরও পড়ুন: মত্ত চালকের বেপরোয়া গাড়ির গতি, নিমতলায় হাড়হিম দুর্ঘটনায় আহত ৫

দুর্গাপুজোর সময় মেট্রো কলকাতাবাসীর যাতায়াতের অন্যতম ভরসা। সেই সময়ে এই দুর্বল পরিকাঠামোতে মেট্রো কতটা চাপ সামলাতে পারবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সদস্যরা। শুক্রবার মেট্রো রেল ভবনের কর্তৃপক্ষের তরফে তিনজন প্রতিনিধি স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। সভাপতি সিদ্ধব্রত দাস স্মারকলিপি জমা দিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা যায়, নতুন দুটি রেক ইতিমধ্যেই এসেছে, আরও তিনটি আসবে—তবে পুজোর আগে নয়। সংগঠনের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই ভবিষ্যতে মেট্রোর হাল কতটা ফিরবে তা আশঙ্কায় রয়েছেন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি। কিন্তু তিনি এও বলেন যে, যতদিন না মেট্রোর চেহারা পালটাচ্ছে, ততদিন এই প্রতিবাদ চলবে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–