শ্রীভূমির মঞ্চে দুর্গোৎসবের আবহেই ভেসে উঠল গানের সুর। শনিবার কলকাতার তিনটি পুজো মণ্ডপ—হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় ও শ্রীভূমি স্পোর্টিং—উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীভূমির অনুষ্ঠানের সূচনাতেই শিল্পীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি।

মমতা বলেন, নচিকেতা তাঁর অন্যতম প্রিয় গায়ক। আর অদিতি মুন্সিকে তিনি বিশেষভাবে ভালোবাসেন, কারণ কীর্তন গানে নতুন প্রাণ দিয়েছেন এই শিল্পী। কীর্তনকে এক নতুন মর্যাদা দিয়েছেন বলেই এখন সেই গান মনে গেঁথে থাকে, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘উৎসব উৎসারিত সূচনা’র মাধ্যমে প্যান্ডেলের দরজা খোলা হয়। উপস্থিত দর্শকদের জন্য নচিকেতা ও অদিতি মুন্সির সঙ্গীত পরিবেশনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ অনুরোধে অদিতি গান করেন ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারা’। সেই গানেই পরিবেশিত হয় নৃত্য।

নচিকেতা এদিন শোনালেন একটি অভিজ্ঞতার কথা। দার্জিলিঙে সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর একটি গান মুখস্থ গেয়ে শোনান। শিল্পীর কথায়, তাঁর নিজেরই গানটি মুখস্থ ছিল না, অথচ মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতিতে তা গেঁথে ছিল। এরপরেই তিনি পরিবেশন করেন ‘আমি অন্ধকারের যাত্রী’।

মহালয়ার আগে মূর্তি উদ্বোধন না করার সিদ্ধান্তে অনড় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাংস্কৃতিক আবহেই উৎসবের সূচনা করতে চান তিনি। শ্রীভূমির এ দিনের অনুষ্ঠানের নামকরণও তাঁর ভাবনা থেকেই এসেছে বলে জানা গেল।

আরও পড়ুন – মহালয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরে ১৭ গানের অ্যালবাম প্রকাশ

_

_

_

_
_