বাংলা থেকে প্রতিভাশালী গবেষক, প্রযুক্তিবিদদের কৃতিত্বের জন্য সুদূর মার্কিন মুলুক থেকেও বহুজাতিক সংস্থাগুলি ডেকে নিয়ে যায় প্রতিভাবানদের। বাংলা তথা ভারতীয়দের সেই কৃতিত্বেই বেজায় ক্ষুব্ধ মোদির বন্ধু ট্রাম্প। তাই বেছে বেছে এইচওয়ানবি ভিসার (H1B visa) উপর নতুন আইন লাগু। আর তাতে সমস্যায় পড়া ভারতীয়দের দিকে যে মোদি সরকারের দৃষ্টি নেই, তা বিদেশমন্ত্রকের (MEA) বার্তাতেই প্রমাণিত। আমেরিকার ঘাড়ে দায় ঠেলেই দায়মুক্ত হতে চেয়েছেন তাঁরা। তবে বাংলা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দুর্গোৎসবের শুরুতে সেই প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি তাঁদের জন্য ভাবনার কথা প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

একদিনের নোটিশে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার চাপানো হয়েছে এইচওয়ানবি ভিসাধারীদের (H1B visa) উপর। কার্যত দিশাহারা মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে বহু ভারতীয় তড়িঘড়ি শনিবারই দেশে ফেরার বিমান থেকে নেমে গিয়েছেন। যার জেরে ফের নীতি বদল করেছে ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন। অন্যদিকে মাত্র কয়েকদিনের নোটিশে রাজ্যের উপার্যনের জিএসটি বন্ধ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বাংলার বিপুল জিএসটি (GST) বকেয়ার পরে বন্ধ রাজ্যের আয়ের পথও। দেশে নেই কর্মসংস্থান। যার জেরে আমেরিকা ছেড়ে ভারতে ফিরতে চাইলেও বিপদে পড়বেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়রা।

এই পরিস্থিতির উল্লেখ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, নাসা থেকে ভাষা বাঙালি ছাড়া চলে না। অন্যান্য রাজ্যেরও লোক আছে। আজ তারা বিপদে পড়েছে। একদিকে ট্রাম্পের (Donald Trump) হুংকার, অন্যদিকে অনেক বেশি যুদ্ধ চলছে।

আরও পড়ুন : কার চাপে ভিসা নীতি বদল! নতুন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়ে ওয়াশিংটনে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদি দাবি করেছিলেন, তাঁর বন্ধু ট্রাম্পের সহযোগিতায় ভারতে বসেই এইচওয়ানবি ভিসা পাবেন ভারতীয় নাগরিকরা। শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণার পরে ভারতীয়রা বুঝতে পারছেন বন্ধুত্বের সেই ভিসার দাম কত। সেখানেই আচমকা বিপদে পড়া ভারতীয়দের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, অশান্তির মধ্যে মন মাথা কিলবিল করছে। এই ছেলেমেয়েগুলোর কী হবে, যারা ওখানে কাজ করছে। আমরা তাদের কথা ভাবি। প্রার্থনা করি যেখানেই থাকো ভালো থাকো।

–

–

–

–

–


