আমরা অনেকেই লিভাইসের (Levi’s) জিন্স পরতে পছন্দ করি। লিভাইস একটা ব্র্যান্ড। যা মূলত জিন্স তৈরির জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে লিভাইস বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে।

কোম্পানিটি কোথায় অবস্থিত
লিভাইস (Levi’s) কোম্পানির সদর দফতর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে। যদিও এর কর্পোরেট নিবন্ধন ডেলাওয়্যারে। প্রতিষ্ঠানের নাম লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি।

আরও পড়ুন-৯৬ বছরের ‘বোরোলিন’কে থামাতে পারেনি কেউ! বিদেশেও চাহিদা মাত্রাছাড়া

বিশ্বজুড়ে লিভাইসের কতগুলি স্টোর রয়েছে
এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে লিভাইসের প্রায় ৩৫০০ টি লিভাইসের স্টোর রয়েছে।

কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা
এটি ১৮৫৩ সালে লেভি স্ট্রস (Levi Strauss) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। লেভি ছিলেন একজন জার্মান-আমেরিকান ব্যবসায়ী। ১৮২৯ সালে জার্মানির বাভারিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৫৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় আসেন।

জিন্সের উদ্ভাবন
লেভি স্ট্রস ও জ্যাকব ডেভিস (Jacob Davis) জিন্সের পকেট এবং সেলাইয়ে ধাতব রিভেট ব্যবহার করার উদ্ভাবন করেন, যা জিন্সকে অনেক বেশি টেকসই করে তোলে।

ব্র্যান্ডের প্রসার
লিভাইস দ্রুত শ্রমিক, খনি শ্রমিক ও কৃষকদের জন্য জিন্স তৈরি করতে। ১৯ শতকের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।

লিভাইসের ট্যাগলাইন
লিভাইস-এর একটি সুপরিচিত ট্যাগলাইন হল “Quality never goes out of style” (গুণমান কখনই ফ্যাশনের বাইরে যায় না)। ব্র্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচারমূলক স্লোগান হিসেবে “Live in Levi’s” (লিভাইসে বাঁচুন) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ট্যাগলাইনগুলির মাধ্যমে লিভাইস তাদের পণ্যের গুণমান, স্থায়িত্ব এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে।

আরও পড়ুন-গরিবের মসিহা রোলেক্স কোম্পানির মালিক! মুনাফার প্রায় পুরোটাই চলে যায় দানে

লিভাইসের লোগো
লিভাইসের (Levi’s) লোগোটি প্রায় ১৫০ বছরে ৮ বার নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই লোগোর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এর দীর্ঘ ইতিহাস এবং আধুনিক শৈলীকে ধারণ করার ক্ষমতা। আইকনিক ব্র্যান্ডটি প্রায় ১৬৯ বছরের পুরনো।
কোন কোন দেশে লিভাসের কারখানা রয়েছে
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, লিভাইস ভিনটেজ ক্লোথিং রেঞ্জের কিছু পোশাক আমেরিকায় তৈরি হত, কিন্তু এখন লিভাইস ক্যাটালগের সবকিছুই দেশের বাইরে তৈরি করা হয়। বর্তমান পোশাক উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে, লিভাইস মূলত বাংলাদেশ, চিন, ভারত, মেক্সিকো এবং ভিয়েতনামের কারখানাগুলিতে তৈরি করা হয়।