এশিয়া কাপের সুপার ফোরের (Asia Cup Super 4) ম্যাচে পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল ভারত (India)। বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্থান নিশ্চিত করল টিম ইন্ডিয়া।

এই ম্যাচ ছিল ভারতের কাছে কার্যত সেমিফাইনাল। কিন্তু এই ম্যাচেও ব্যাটিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধারা অব্যাহত রাখলেন গৌতম গম্ভীর। সঞ্জু স্যামসনের জন্য ৮ নম্বরে জায়গা বরাদ্দ হয়। তিন নম্বরে তিলক ভার্মা বা সূর্যকুমার যাদবের বদলে শিবম দুবেকে নামিয়ে দিলেন গম্ভীর। কেন নামালেন, কেউ জানেন না। ক্রিকেট পণ্ডিতরাও অবাক হলেন ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে। এশিয়া কাপে ব্যাট করার খুব একটা সুযোগ পাননি শিবম। কিন্ত ২ রানে আউট হলেন শিবম।

দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা আউট হওয়ার পর যখন পর পর উইকেট পড়ছে তখনও সঞ্জুর মতো ব্যাটারকে না নামিয়ে নামিয়ে দেওয়া হল শিবম দুবে। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ সূর্য। হার্দিক পাণ্ডিয়া ৩৮ রান করে মিডল অর্ডারে মানরক্ষা করলেন। তিলক ভার্মা, অক্ষরদের আগে নামালেন খারাপ খেললেন। বল নষ্ট করলেন। তাতে দলের চাপ বাড়ল। কিন্তু সঞ্জুকে নামাতেই যেন চাইছিলেন না গম্ভীর।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে নামতেই হল না সঞ্জুকে। ভারতের মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই, অভিষেক শর্মা একটাই টানছেন ভারতকে। পর পর দু’ম্যাচে অভিষেকের ইনিংস ভারতকে জেতাল। এরপরও সঞ্জুর প্রতি অনীহা কেন গম্ভীরের? দল জিতছে তাই সমস্যা হচ্ছে না, হারলে কিন্ত গম্ভীরের চাপ বাড়বে।

বুধবার টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। চোট পাওয়ায় ছিটকে গিয়েছেন লিটন দাস। তাঁর জায়গায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন জাকের আলি। টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিল ৭৭ রান করেন। অভিষেক এই ম্যাচেও সফল। ৩৭ বলে ৭৫ রান করলেন।সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য রাখে টিম ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন :ছয় ছক্কায় নয়া নজির, ব্যাট হাতে বিশ্ব রেকর্ড বৈভবের

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। সইফ হাসান ৬৯ রান করে লড়াই করেন। কুলদীপ তিনটি,বুমরাহ ও বরুণ দুটি করে উইকেট নেন। অক্ষর ও তিলক একটি করে উইকেট নেন। ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আরও একটি ম্যাচ আছে ভারতের।
