রেটিং -3.5/10
‘রঘু ডাকাত’ (Raghu Dakat) যতটা গর্জালো, ততটা বর্ষালো না। অবশ্য এটা খানিকটা বোঝাও যাচ্ছিল। বাংলা দর্শকের বোধবুদ্ধিকে খাটো করে দেখলে যা হয়, তাই হল। দেব (Dev) অভিনীত ‘রঘু ডাকাত’ কার্যত একটি জঘন্য ছবি হিসেবে চিহ্নিত থাকছে দর্শকের কাছে। বৃহস্পতিবার প্রথম আনুষ্ঠানিক শোতেই বোঝা গেল দর্শক বিরক্ত, শেষ পর্যন্ত দেখার ধৈর্যও অনেকে দেখালেন না। পুজোর মরশুমে কিছু লোক দেখলেও সাধারণভাবে রেটিং কম হতে চলেছে।
রঘু ডাকাত একটি নাম বটে। কিন্তু তাকে পর্দায় আনতে অতীতের ক্যালেন্ডার, সময়ানুযায়ী সমাজ, সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেছে। পরিচালক বোধহয় ভেবেছেন দেবের (Dev) মাসল দেখালে বা দক্ষিণী ছবির ছায়ায় নাচগান ঢুকিয়ে দিলেই ছবি চলবে। যতই প্রমোশনে লাফালাফি হোক, কন্টেন্ট যথাযথ না হলে বাড়তি শো নেওয়া জলে যাবে। প্রথম শোর রিপোর্ট মর্মান্তিক। সবটা চেনাপরিচিতসূত্রে হয় না। বিচ্ছিন্ন কিছু অভিনয় বা মুহূর্ত ভালো। কিন্তু খাপছাড়া কাণ্ডকারখানা আর অবাস্তব মেকআপ, আজগুবি সেট, কৃত্রিম সংলাপে টোটালিটিতে ছবিটা ঝাড় হয়েছে। দেব (Dev) এর থেকে অনেক ভালো ছবি করার ক্ষমতা রাখেন। এধরণের অসঙ্গতিপূর্ণ ছবি, এত ভুলভালভাবে বানালেন কেন, সেটাই বিস্ময়কর। কত টাকা দিয়ে সেট তৈরি করলেন, কত টাকার সিনেমা, এসব দিয়ে বাংলা দর্শকের অনুভূতিকে মাপতে গেলে, আজকের দিনে সেটা ভুল, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এখন মরিয়া চেষ্টা হবে হিট ভাবখানা দেখানোর, কিন্তু দর্শক বুঝবেন ফ্লপ। ইধিকা (Idhika Paul) যদি অভিনয়ের বদলে শুধু নেচে ওয়ান সিন ওয়ান্ডার হতে চান, তাহলে তিনিও লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হতে পারবেন না। মুক্তির আগেই একটা টিকিটে আরেকটা ফ্রি বা হইচই লিঙ্ক ফ্রি, এসব করে তো রঘু আগেই হেরে বসে আছে। এখন পর্দাতেও দেখা গেল এই ছবি দুর্বল, খুবই দুর্বল। দেব (Dev) কন্টেন্টে মন দিন। কিছু স্তাবক গোপাল ভাঁড়কে নিয়ে প্রচার করাতে গেলে এই হাল হবে।

–

–

–

–

–

–

–

–
