সকাল হোক বা বিকেল, ট্রেন হোক বা বাস, শহর হোক বা গ্রাম। দুর্গাপুজোর চতুর্থীতেই বাঙালি প্রমাণ করে দিল দুর্গোৎসবই (Durgapuja 2025) তাঁদের সারা বছরের অপেক্ষা। সব ক্লান্তির অবসান। শুক্রবার দিনভর কাতারে কাতারে দর্শনার্থীর ভিড় কলকাতার বড় বড় পুজো মন্ডপগুলিতে। পিছিয়ে নেই জেলা শহর আসানসোল, বর্ধমান, কল্যাণী, বাঁকুড়া, বোলপুর।

প্রবল বর্ষায় মাত্র তিন দিন আগে বিপর্যস্ত হয়েছে শহর কলকাতার বহু দূর্গাপুজোর মন্ডপ। তা সত্ত্বেও দর্শনার্থীদের উৎসাহেই যেন উদ্যোক্তারা নতুন ভাবে উৎসাহিত হতে পেরেছেন। প্রবল বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্ডপের কাজ পূরণ করে ফেলা হয়েছে তিন দিনেই। যার ফলে দর্শনার্থীরা কেউ সকালে বেরিয়ে বিকাল পর্যন্ত ঠাকুর দেখছেন। আবার কেউ বিকালে বেরিয়ে সারারাতের প্ল্যান করেছেন।

বৃহস্পতিবার জমা জল থেকে নতুনভাবে প্রস্তুতি নেওয়া মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। তবে চতুর্থীতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে টুইট করে জানানো হল, দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মণ্ডপ শুক্রবারও দর্শনার্থীদের জন্য খোলা সম্ভব নয়। সেখানে এখনও জল জমে রয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল চেতলা অগ্রণী ক্লাবের পুজোয়। শুক্রবার সেই সমস্যা কাটিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে গেল চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপও।

আরও পড়ুন: চতুর্থীতে কলকাতা পুলিশের হাত ধরে পুজো পরিক্রমা প্রবীণ-বিশেষভাবে সক্ষমদের

অন্যদিকে শুক্রবার জেলা শহরগুলিতে বৃষ্টির ভ্রুকুটি অনেকটাই কমেছে। রোদ ঝলমলে শরতের আকাশ সকাল থেকে দর্শনার্থীদের পুজো মন্ডপে ভিড় করতে উৎসাহ দিয়েছে। তারই মধ্যে চতুর্থীতে বর্ধমান শহরের লালটু স্মৃতি সংঘ থেকে সুভাষ অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো দেখতে ভিড় দর্শনার্থীদের। একইভাবে দুর্গাপুর, আসানসোলের নয়টি পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার করেছিলেন। শুক্রবার সেই মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড়। বাঁকুড়া শহরেও ছবিটা প্রায় একই রকম। বর্ষার জন্য বেশ কিছু পুজো মন্ডপের কাজ এখনও বাকি। অসমাপ্ত মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতেই দর্শনার্থীদের ভিড়।

দুর্গাপুজোর মণ্ডপের জন্য বিখ্যাত নদিয়ার কল্যাণী। সেখানে দ্বিতীয়া থেকেই মন্ডপে মন্ডপে ভিড় দেখা গিয়েছিল। চতুর্থীতেও তার ব্যতিক্রম হল না। আইটিআই মোড় দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে সকাল থেকে বিকেল, রাত্রি – ভিড়ের ছবিটা ছিল প্রায় একই রকম।

–

–

–

–