দুধিয়া-মিরিক সড়কের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। প্রশাসনের বরাত অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল পুনরায় শুরু হতে পারে। গত ৫ অক্টোবরের ভারী বর্ষণে বালাসন নদীর (Balasan river) জল বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং দুধিয়ার (Dudhia) অংশে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে শিলিগুড়ি-মিরিক সড়ক কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল। এই সমস্যার কারণে পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অসুবিধায় পড়েন। স্থায়ী সেতু সংস্কারের কাজ এখনই সম্ভব না হওয়ায় প্রশাসন বিকল্প রাস্তার মাধ্যমে ছোট যানবাহনের চলাচলের ব্যবস্থা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে ভেঙে যাওয়া সেতুর ধারে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রশাসনিক তৎপরতাও সেখানে তুঙ্গে।

গত ১৫ দিন ধরে দুধিয়ায় বালাসন সেতুর ওপরে হিউমপাইপ (hume pipe) বসিয়ে বিকল্প পথ তৈরির কাজ জোরকদমে চলেছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাস্তার মূল অংশের কাজ প্রায় শেষ হবে। এরপর মাটি ফেলে রাস্তা শক্ত করা হবে এবং পরীক্ষামূলকভাবে ছোট যানবাহনের চলাচল শুরু করা হবে।

মিরিক পুরসভার (Mirik Municipality) প্রশাসক এল এন রাই জানান, দুধিয়ার (Dudhia) মাধ্যমে মিরিক ও শিলিগুড়ির যোগাযোগ দ্রুত স্বাভাবিক করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যেই এই বিকল্প সড়ক (alternative road) চালু করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের পাইপলাইন ও অন্য ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর কাজও সমান্তরালভাবে চলছে।

আরও পড়ুন: এসএসকেএমে নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’র ঘটনায় রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্যভবনের

প্রায় ২২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ছোট গাড়ি চলাচল করবে। পরিস্থিতি দেখে বড় যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কার্যত উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বৈঠকে গিয়ে যেভাবে মানুষের সুবিধায় দুধিয়া সেতু নিয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই পথেই বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের পরিষেবার রাস্তা প্রস্তুত করছে স্থানীয় প্রশাসন।

–

–

–

–
–

