বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজেপির মদতে একাধিক বিজেপি রাজ্যে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই ধরনের আন্দোলনে সরব হয়েছে ত্রিপুরা (Tripura)। কিন্তু আন্দোলন কাদের বিরুদ্ধে কাদের? উত্তর খুঁজতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় যিনি এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি নিজে একজন বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পরিচয়পত্রধারী একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আবার তিনিই তিপ্রা মোথার বিধায়ক। বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এই নেতা বাংলাদেশের নাগরিক বলেই দাবি করছে রাজ্যের বাংলাভাষা আন্দোলন কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার প্রায় ৪৫ জায়গায় আন্দোলন চালায় তিপ্রা মোথার (Tipra Motha) সদস্যরা। দাবি – বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও ইনার লাইন পারমিট চালু ও অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারির মতো আটটি ইস্যু রয়েছে আন্দোলনের। কিন্তু ভাষা আন্দোলনকর্মীদের দাবি, আন্দোলনের গোড়ায় গলদ। আন্দোলনের মূল পৃষ্ঠপোশক তিপ্রা মোথার বিধায়ক রণজিৎ দেববর্মা (Ranjit Debbarma) বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিকত্ব (National ID card) ও জন্ম সংশাপত্র (birth certificate) তুলে ধরে দাবি করা হয় দুটিই বাংলাদেশের (Bangladesh)।

বর্তমানে ত্রিপুরায় তিপ্রা মোথা বিজেপির সহযোগী দল। দলের প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মা দিল্লি গিয়ে অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে চুক্তি করেই প্রায় রাজ্যের শাসনে যোগ দিয়েছেন। তাঁরই দলের বিধায়ক রণজিৎ দেববর্মা। বর্তমানে ত্রিপুরার নিষিদ্ধ সংগঠন টাইগার ফোর্সের (Tiger Force) একসময়ের প্রধান ছিলেন তিনি। তারপর কেন্দ্রের সরকারের থেকে বড় অঙ্কের টাকার প্যাকেজ নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

বর্তমানে ত্রিপুরার অবস্থা এমনই যেখানে প্রায় প্রতিদিন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে। সেই সব অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ছে দিল্লি, কলকাতার মতো শহরে, যা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। আদতে তা যে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যর্থতায় তা বলা বাহুল্য। তবে ত্রিপুরার (Tripura) ক্ষেত্রে দেশের ভিতরে থাকা বাংলাদেশের নাগরিক থেকে নেতা-বিধায়করা সেই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল রাজ্যের ভাষা আন্দোলনের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: বাংলার মানুষের ভোটাধিকার কাড়ার ছক, SIR-এর নামে ছেলেখেলা করছে কমিশন: সুর চড়ালেন সুজন

ভাষা আন্দোলনকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রণজিৎ দেববর্মার যে বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণপত্র তুলে ধরেছেন তাতে বাংলাদেশের আইডি নম্বরও দেওয়া রয়েছে। আবার যে জন্মশংসাপত্র তুলে ধরা হয়েছে সেখানে ১৯৬৪ সালে তাঁর ঢাকা শহরে জন্ম বলে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেই এই সমালোচকদের দাবি, কীভাবে বাংলাদেশের এক নাগরিক ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশের নেতৃত্ব দেন।

–

–

–
–

