আরজিকরের ঘটনার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমূল পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা থেকে সাধারণ নিরাপত্তা (security system) – সব দিকেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একাধিকবার সেই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজও হয়েছে। ফের একবার রাজ্যের জেলা স্তর থেকে শহরের সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant, CS)।
শনিবার নবান্নে (Nabanna) হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম–সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা, সব সিএমওএইচ (CMOH), সব হাসপাতালের সুপার (hospital super), পুলিশের শীর্ষ কর্তারা, সব জেলাশাসক (DM) ও পুলিশ সুপাররা (SP)। ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar, DGP), কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা ও সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সব দফতরের সচিবরাও থাকবেন এই বৈঠকে।
আরজি করের ঘটনার পর হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমূল বদলে ফেলা হয়েছে। তারপরেও সম্প্রতি হাসপাতালে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর হামলা –সহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে মহকুমা স্তরের হাসপাতাল পর্যন্ত সুরক্ষা (scurity) ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। কোথায় কী কী ধরণের খামতি রয়েছে তা যাচাই করে দেখা হবে। সব বড় হাসপাতালেই সিসিটিভি (CCTV) বসানো হয়েছে। হাসপাতাল, হস্টেল চত্বরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথেষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কেন এই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলি ঘটছে, তার প্রাথমিক রিপোর্টও চেয়েছেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তরফে এই রিপোর্ট দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার প্রতিবাদ, সকাল থেকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ডাক্তারদের পেনডাউন!
অন্যদিকে, সম্প্রতি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের (SCCMC) কর্তব্যরত মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে নিগ্রহের ঘটনায় হাসপাতালের সিকিউরিটি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে উত্তর তলব করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই সিকিউরিটি এজেন্সির (security agency) কর্তব্যরত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তারক্ষীরা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত তিনজনকে শুক্রবার উলুবেড়িয়া কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
–
–
–
–
–
