হাসপাতালে চিকিৎসককে দিয়ে মিথ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট লেখানো। মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশের ধর্ষণের (rape) ছবি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে শাসক-পুলিশ আঁতাঁতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জাল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট (post mortem report) বা স্বাস্থ্য রিপোর্টের মতো বড়সড় দুর্নীতি। তবে সুইসাইড নোটে (suicide note) চিকিৎসক এক সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। কে সেই সাংসদ? দুর্নীতিতে তাঁর কী ভূমিকা, প্রশ্ন তুলে সাতারার (Satara) ঘটনায় সাংসদের (MP) নাম প্রকাশের দাবি জানালো বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে যেভাবে মহিলাদের উপর নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে, তার চরমতম নিদর্শন মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। এখানে পুলিশের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ। তবে শুধু ধর্ষণ নয়। অভিযোগ সাংসদের (MP) মদতে হাসপাতালে কীভাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামীদের স্বাস্থ্য রিপোর্ট বদলে দিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। নাহলে সাতারার চিকিৎসকের মতো ধর্ষণের শিকার হতে হয়। মহারাষ্ট্র পুলিশ মৃত চিকিৎসকের বাড়ির মালিকের ছেলে ও অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক গোপাল বাদানেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে যে সাংসদের উল্লেখ করে গিয়েছেন মৃত চিকিৎসক, তার নাম কোথাও উল্লেখ করছে না মহারাষ্ট্র পুলিশ।

যে বাড়িতে ওই চিকিৎসক ভাড়া থাকতেন তার মালিকের ছেলেকে প্রথমে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra police)। তাঁর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসক। তবে গ্রেফতারির পরে প্রশান্ত বাঙ্কার নামে ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যুবকের পরিবার কাঠগড়ায় তুলেছে চিকিৎসককেই। তাঁরা দাবি করার চেষ্টা করেছে, পুলিশ প্রশান্তকে গ্রেফতার করেনি। সে নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে। মানসিক নির্যাতন প্রশান্ত চিকিৎসককে করেনি। উল্টে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে চিকিৎসকই প্রশান্তকে মানসিক নির্যাতন করত।

আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

যদিও এই বিষয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ এখনও কিছু জানায়নি। ঠিক যেমন অভিযুক্ত সাংসদের বিষয়েও কিছু জানানো হচ্ছে না ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের পুলিশের তরফে। আর সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) প্রশ্ন তোলেন, এক সাংসদের ভূমিকা বিষয়টায় উঠে আসছে। কে এই সাংসদ (MP)? তাঁর কী ভূমিকা ছিল? বা তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, অবিলম্বে প্রকাশ্যে সেটা আনা উচিত। কেন কায়দা করে তাঁর নাম ঢাকা হচ্ছে। যদি মহিলা চিকিৎসক গোটা বিষয়টিতে সাংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে থাকে, পুলিশ আধিকারিকদের নাম যদি প্রকাশ্যে আসতে পারে, সাংসদের নাম কেন প্রকাশ্যে আসবে না।

–

–

–

–
–


